কলকাতা: বাংলাদেশের লাগাতার আক্রমণ, লাগাতার ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের। পাল্টা প্রতিরোধের বার্তা ভারতের। বিগত কয়েকদিনে এই ছবিই দেখা যাচ্ছে। এরইমধ্যে ঢাকায় গিয়ে সে দেশে হিন্দুদের নিয়ে কড়া ইউনূস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন ভারতের বিদেশ সচিব। এমতাবস্থায়, শুধু হিন্দু সংগঠন বা বিজেপি নেতারা নন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন এপার বাংলার সংখ্যালঘুরাও। ভারতের একমুঠো মাটি নেওয়ার চেষ্টা করলে বাংলাদেশিদের কব্জি কেটে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। পিছিয়ে নেই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
হুমায়ুন তো স্পষ্টতই বলছেন, “আমরা ভারতীয় হিসাবে, বাংলার লোক হিসাবে প্রতিরোধ করব। যোগ্য জবাব দেবে মুর্শিদাবাদের মানুষ।” আক্রমণ শানিয়েছেন বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভির বিরুদ্ধে। এই রিজভিকেই কয়েকদিন আগে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিতে দেখা গিয়েছিল। একেবারে নিজের স্ত্রীর শাড়িতে আগুন ধরিয়ে ভারত বিরোধ করতে দেখা যায়। সাফ বলেন, “এটি ভারতীয় শাড়ি। আমার স্ত্রীর। তিনি নিজে শাড়িটি আমায় দিয়েছিলেন। আমি আপনাদের সামনে শাড়িটি ছুড়ে ফেলে দিচ্ছি।”
সেই রিজভীর বিরুদ্ধেই এখন সুর চড়িয়ে হুমায়ুন বলছেন, “এতদিন কোথায় ছিলেন রিজভি? ইদুরের গর্তে। আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে পারে না। ভারতের কথা বলছে। পাগলের প্রলাপ বকছেন রিজভী।” প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের। কখনও ভারতের মানচিত্র বদলের হুমকি, কখনও কলকাতা তো কখনও সেভেন সিস্টার্স বদলের হুমকি দিয়েছেন কট্টরপন্থী নেতারা। এমতাবস্থায় হুমায়ুনের মতো নেতাদের পাল্টা আক্রমণ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।