
কলকাতা: সোমবারই ঘোষণা হয়েছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল সর্বদল বৈঠক। আর সেই বৈঠকের মাঝেই প্রবল বাগবিতণ্ডা। তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমের পক্ষ থেকেও সিইও-র কাছে একাধিক প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশি জানলেন কীভাবে? কোন অধিকারে এ কথা বলছেন? সিইও-কে প্রশ্ন তৃণমূলের। কোন ধারায় কাউকে নাগরিক নয় বলছেন, প্রশ্ন সিপিএমেরও। মানুষের জীবন চলে গিয়েছে, বৈঠক এ মন্তব্যও করতে দেখা যায় সিপিএম প্রতিনিধিকে।
সিপিএমের সাফ কথা, কমিশনের কোনও এক্তিয়ার নেই কে নাগরিক কে নাগরিক নয় এ ধরনের কিছু দেওয়ার। কিন্তু কোন ধারার উপরে কমিশন কে নাগরিক, কে নাগরিক নয় এই তথ্য দিচ্ছে? অন্যদিকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদেরও। কে বাংলাদেশি সেটা কমিশন কীভাবে জানল সেই প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিইও মনোজ আগারওয়াল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে সবটাই ব্যখ্যা করতে থাকেন।
একইসঙ্গে গোটা এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিএলও-দের ভূমিকা কী হবে তাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি আধার কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কেন আধার কার্ডকে নেওয়া হচ্ছে না এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে করা হয়েছে। তবে বাকি কোন কোন তথ্য থাকছে সবটাই জানান হয়েছে সিইও-র তরফে। ২০০২ এর ভোটার তালিকায় নাম থাকলে, বা মা-বাবার নামের সূত্র থাকলে কোনও ডকুমেন্ট যে দিতে হবে না সে কথাও এদিনই বিশদে ফের ব্যখ্যা করতে দেখা যায় সিইও-কে। তবে সামগ্রিকভাবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চরম বাগবিতণ্ডারই ছবি দেখা যায়। তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূলের তরফে এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমরা। সিপিএমের তরফে ছিলেন সুজন চক্রবর্তীরা। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়রা।