Vivek Sahay: বাংলা-গুজরাটের দুই ডিজি দুই ভাই, লোকসভা ভোটে বিবেক-বিকাশ ‘সহায়’ কমিশনের
Vivek Sahay-Bikash Sahay: গুজরাত পুলিশের ডিজিপি বিকাশ সহায় সদ্য দায়িত্ব পাওয়া পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি বিবেক সহায়ের নিজের ভাই। বিবেক বড়, বিকাশ ছোটভাই। বিবেক ১৯৮৮ ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। বিকাশ ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার।
কলকাতা: দুই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবার দুই ভাই। ‘সৌজন্যে’ জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাত যুযুধান দুই রাজ্য। দুই রাজ্যের নেতাদের মধ্যে ঠোকাঠুকিও লেগেই থাকে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সৌজন্যে এবার দুই রাজ্যের পুলিশ অভিভাবক হিসাবে পেল রক্তের সম্পর্কের দুই ভাইকে। পারিবারিক সূত্রে জুড়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও গুজরাত পুলিশ।
গুজরাত পুলিশের ডিজিপি বিকাশ সহায় সদ্য দায়িত্ব পাওয়া পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি বিবেক সহায়ের নিজের ভাই। বিবেক বড়, বিকাশ ছোটভাই। বিবেক ১৯৮৮ ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। বিকাশ ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের জেরে দেশের মধ্যে এই প্রথম রক্তের সম্পর্কের দুই ভাই দুই রাজ্য পুলিশের ডিজিপির দায়িত্বে এলেন। সোমবারই জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় শুরু হয় নানা গুঞ্জন। রাজ্য সরকার বিবেক সহায়কে ডিজিপি পদে নিয়ে আসে। রাজ্যের মানুষ যখন এই বদলি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, তখন এই সিদ্ধান্তের জেরে নীরবে কাছে চলে এল দুই রাজ্যের পুলিশ পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিবেক ও বিকাশ দুই ভাই-ই দুই রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বিকাশ যেমন গুজরাত পুলিশের সিআইডি, ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের মতো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিং সামলেছেন। পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক। তেমনই বিবেকও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। সিবিআইয়েও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন।
সিবিআইয়ে ইকোনোমিক অফেন্স উইং, স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে এসপি পদে দায়িত্ব সামলেছেন বিবেক। ছিলেন দুর্নীতি দমন শাখাতেও। পরে আবার রাজ্য পুলিশে ফেরার পর ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি বিভাগে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলেছেন। বিকাশ সহায় ২০২৩ সালের ২ মার্চ গুজরাট পুলিশের ডিজিপি পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। বিবেক বাংলার দায়িত্ব নিলেন সদ্য। মে মাসেই বিবেকের অবসর নেওয়ার কথা। তার আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের জেরে আরও কাছে এল দুই রাজ্যের পুলিশ।