Salt Lake Water Tanks: কখনও পাম্প বিকল, কখনও ট্যাঙ্ক থেকে ভেঙে পড়ছে চাঙড়; বেহাল সল্টলেকের ১৬ টি জলের ট্যাঙ্ক
Bidhannagar Municipal Corporation: ১৬ টি জলের ট্যাঙ্কের অবস্থা খারাপ থাকলেও ৩,৭ এবং ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের অবস্থা খুবই খারাপ। এই তিনটি ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের জলের চাহিদা পূরণ হয়।
কলকাতা : সল্টলেকের (Salt Lake) ১৬ টি জলের ট্যাঙ্কের অবস্থা জীর্ণপ্রায়। কখনও পাম্প বিকল। কখনও ট্যাঙ্ক থেকে ভেঙে পড়ছে চাঙড়। রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে জলের ট্যাঙ্কের দশা করুণ। পুরনিগমের কর্মীদের আশঙ্কা যে কোনও সময় ভেঙে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করতে চেয়ে কেএমডিএ-এর কাছে ডিপিআর জমা দিয়েছে বিধাননগর পুরনিগম। বিধাননগর পুরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) প্রাক্তন কাউন্সিলার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ টি জলের ট্যাঙ্কের অবস্থা খারাপ থাকলেও ৩,৭ এবং ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের অবস্থা খুবই খারাপ। এই তিনটি ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের জলের চাহিদা পূরণ হয়। তিন নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে ৪০ এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে, সাত নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে ২৯,৩০,৩১ নম্বর ওয়ার্ডে, ১০ নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে ২৯, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জল সরবরাহ হয়। জরাজীর্ণ অবস্থায় কারণে যে কোনও একটি ট্যাঙ্ক বিপর্যয় হলে জলের সংকট দেখা দেবে সল্টলেকের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
বাম জমানায় পর থেকে কোনওরকম রক্ষণাবেক্ষণের (সিভিল এবং মেকানিক্যাল) কাজ হয়নি। এরফলে প্রায় সময় পাম্প বিকল হয়ে যাওয়ার কারনে পানীয় জলের সমস্যা দেখা যায়। ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভা থেকে পুরনিগমের উন্নীত হলেও পরিশোধিত পানীয় জলের ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ অধরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমফানের দাপটে চার নম্বর জলের ট্যাঙ্কের দেওয়াল ভেঙে পড়ে গিয়েছে। তার মেরামতির কাজ আজও হয়নি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৬ টি ট্যাঙ্ক বাংলার মনীষীদের নামে নামকরণ করা হয়েছিল জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি বিভাগের পক্ষ থেকে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই সমস্ত মনীষীদের নামাঙ্কিত বোর্ড ভেঙে গেলেও আজ পর্যন্ত তার মেরামতি হয়নি। মেয়র পারিষদ (জল) তুলসী সিনহা রায় জানান, সবেমাত্র বোর্ড তৈরি হয়েছে। কেএমডিএ-কে ডিপিআর জমা দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে ট্যাঙ্ক সংস্কারের কাজে গতি আসবে।
তুলসী সিনহা রায় জানিয়েছেন, “ডিপিআর আমরা ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছি এবং সেই ডিপিআর অনুমোদন পেয়ে আসলেই আমরা মেরামতির কাজ শুরু করে দেব। একটি ট্যাঙ্ক মেরামতি করলে, অন্তত ১০-১৫ বছর ভালভাবে সেই ট্যাঙ্কগুলি চলে যায়। এছাড়া আমফান ঝড় বা অন্যান্য কারণে যে সমস্যাগুলি রয়েছে যেমন চার নম্বর ট্যাঙ্কের পাঁচিল ভেঙে পড়েছে, সেগুলির কয়েক মাস আগেও এস্টিমেট তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই হয়ত সেগুলির টেন্ডার ডাকা হবে। সদ্য আমাদের বোর্ড গঠন হয়েছে। আমরা আবার খোঁজখবর নেব দফতর থেকে সেগুলি কেন হয়নি।”