Weather Update: ঝাঁপিয়ে আসছে বৃষ্টি, আর কতদিন বঙ্গে থাকবে কুয়াশামাখা শীত? জানাল হাওয়া অফিস
Kolkata: বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার পর্যন্ত পারদ পতন হলেও বুধবার ফের স্বাভাবিক হয়েছে তাপমাত্রা
কলকাতা: জাঁকিয়ে শীত (Winter) পড়েছে বঙ্গে। তবে, শীতের আয়ু কতদিন তা নিয়ে ধন্দ থাকছেই। আবহবিদরা বলছেন, আর বেশিদিন নয়, শীত গিয়ে ফের বৃষ্টি আসছে। আগামিকাল থেকেই বদলাবে আবহাওয়া। শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কবে তাহলে, ঝঞ্ঝা কাটিয়ে শীত, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল থেকেই বদলাবে হাওয়া। একধাক্কায় ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। শুক্রবার থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি। বঙ্গ জুড়ে শনিবার সকালেও হবে বৃষ্টি। ফলে ফের পিছু হটবে শীত। কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।
বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার পর্যন্ত পারদ পতন হলেও বুধবার ফের স্বাভাবিক হয়েছে তাপমাত্রা। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ। সকালের আকাশে কুয়াশার প্রার্দুভাবও থাকবে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে গিয়ে রোদের দেখা মিলবে।
শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রবিবারও অব্যাহত ছিল পারদ পতন। সোমবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। তবে, মঙ্গলবার ১২-র কাঁটা পেরিয়েছে তাপমাত্রা।
এদিকে, বুধবার কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা যেমন বাগুইআটি, কেষ্টপুর, সল্টলেক, রাজারহাট-নিউটাউন, বিশ্ববাংলা সরণিতে গাড়ির আলো জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলে যান চলাচল। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান চলাচলের ওপর খানিকটা প্রভাব পড়ে। ধীর গতিতে ওঠা-নামা করছে বিমান। কৃত্রিম আলো ক্যাটের ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিমান চলাচল পরিষেবা খানিকটা বিলম্বিত হতে পারে বলে খবর। বুধবার ভোর সাড়ে চারটে থেকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সেফ গার্ড লাগু করা হয়েছে।
বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। এতগুলি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অসময়ে বঙ্গে আগমন ও গমন কোনওভাবেই এ রাজ্যের জন্য ভাল নয় বলেই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
আশঙ্কা, আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার জন্য বিপদের বঙ্গের জলবায়ু। নতুন বছরে লেগেই থাকতে পারে, অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ সে সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গোটা রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খরার বিপদ দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়।