AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Weather Updates: বছরের শুরুতেই শীত নয়, বৃষ্টি হবে আপনার সঙ্গী! জোড়া ঝঞ্ঝা ফলায় বিপদ দেখছে বাংলা

Kolkata: শহরে যে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে তার আয়ু অত্যন্ত কম। কারণ বিপদের নাম  পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। 

Weather Updates: বছরের শুরুতেই শীত নয়, বৃষ্টি হবে আপনার সঙ্গী! জোড়া ঝঞ্ঝা ফলায় বিপদ দেখছে বাংলা
বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়। ছবি PTI
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 7:55 AM
Share

কলকাতা: কথায় বলে, ‘কারোর পৌষ মাস, কারোর সর্বনাশ’! বঙ্গবাসীর ক্ষেত্রে অন্তত এই কথাটাই যেন হাড়ে হাড়ে সত্যি। বছরের শুরুতে হাড়হিম শীতের (winter) দেখা তো নেই, উল্টে পৌষে অকালবর্ষণের পোয়াবারো! নেপথ্যে, একটি নয়, দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। অন্তত এমনটাই বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার কলকাতা ও শহরতলিতে মূলত আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। তবে শহরে যে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে তার আয়ু অত্যন্ত কম। কারণ বিপদের নাম  পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।

একটি নয়, পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে চলেছে বঙ্গে। আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি ও পরে ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাধা পাবে শীত। বাধা পাবে উত্তরের বাতাস। সোমবার বেশ ঠান্ডা অনুভূত হলেও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার একধাক্কায় তাপমাত্রার প্রভূত হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কলকাতায় ও জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হতে পারে।

চলতি সপ্তাহেই বৃহস্পতিবারের পর থেকে কার্যত উধাও হতে পারে শীত। পৌষেও অকালবৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে,’২১-এ গোটা ডিসেম্বর মিলিয়ে কলকাতার রাতের তাপমাত্রার গড় থেকেছে স্বাভাবিকের উপরেই।  পরিসংখ্যান বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় দাঁড়িয়েছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিক ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাত্‍ স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। শীতে তো তাপমাত্রা কম থাকবে, হল বেশি! অধরা পাশ মার্কই। কেন বেশি হয়েছে? উত্তর সহজ। ৩১ দিনের মাসে ১৮ দিনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের উপরে। ১৩ দিন পারদ ছিল স্বাভাবিক বা তার নীচে।

গত ২০ ডিসেম্বর ছিল একুশের শীতলতম দিন। কলকাতার তাপমাত্রা নেমে যায় ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শৈত্যপ্রবাহ থাবা বসায় পশ্চিমাঞ্চলে। সবাইকে পিছনে ফেলে রাজ্যের সমতলে শীতলতম স্থানের তকমা পায় নদিয়ার কল্যাণী। তাপমাত্রা নামে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা নামে ৭.১ ডিগ্রিতে। পাহাড়ি কালিম্পংকেও পিছনে ফেলে দেয় সমতলের দুই জায়গা। কিন্তু জাঁকিয়ে শীতের দাপট বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বাধার পাহাড় নিয়ে হাজির হয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন বছরেও সেই বিপদ এড়ানো যাচ্ছে না।

মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টানা ঠান্ডা পেতে হলে দুই ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক থাকতে হয়। সেই জন্যই গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর একটানা শীতের আমেজ পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু দু’টি ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক না-থাকলে তাপমাত্রা নামার সময় পায় না। সেটাই হয়েছে।” তাহলে উপায়? আপাতত, শীতের জন্য চাতকের অপেক্ষা! বলছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন: Belur Math: ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! নতুন বছরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠ