West Bengal Assembly: ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ, কেন ‘হামলা’, জবাব চেয়ে বিধানসভা উত্তাল বিজেপি বিধায়কদের
West Bengal Assembly: বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ বুধবার বারুইপুরে যে ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, বিজেপি দলনেতা-সহ বিজেপির ৫০ জন বিধায়কের প্রাণঘাতী হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বারুইপুর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থার অভিযোগে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবি করে অধিবেশন চলাকালীন স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ। ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়। কেন বিরোধী দলনেতার ওপর হামলা হল. তা নিয়ে জবাব দাবি করে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ বুধবার বারুইপুরে যে ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, বিজেপি দলনেতা-সহ বিজেপির ৫০ জন বিধায়কের প্রাণঘাতী হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগে থেকে তাঁরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছিলেন। কিন্তু তারপরও এই ধরনের পরিস্থিতি কেন তৈরি করা হল, তার জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবি করেন। দেখা যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কোনও বিবৃতির প্রসঙ্গেই যাননি।
এরপর বিজেপি বিধায়করা তাঁদের পকেটে থাকা কালো রুমাল ‘কালো পতাকা’ হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন। বিধানসভার কার্যবিবরণীর যে কাগজপত্র রয়েছে, সেগুলি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
পাল্টা তৃণমূলের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অপূর্ব সরকাররা অ্যাপ্রোপিয়েশন বিলের ওপরে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় বলেন, “ওঁরা নির্বোধ। ওঁরা কী করছেন, তা ওঁরা জানেন না। সেই কারণেই এই ধরনের ভূমিকা পালন করছেন।” এরই মধ্যে দেখা যায়, স্পিকার মন্তব্য করেন, “ওঁরা চেয়ার পাওয়ার জন্য বড় বেশি অধৈর্য্য হয়ে গিয়েছেন। গণতন্ত্রে এভাবে চেয়ার পাওয়া যায় না।” টানা ৩২ মিনিট ধরে বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। বিধানসভার কর্মীরা স্পিকারের চেয়ারের পাশ ঘিরে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, অধিবেশনে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তাই জন্য স্পিকারের বিরুদ্ধে ‘নালিশ’ জানাতে স্পিকারের বিধানসভা কেন্দ্রতেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। বারুইপুরে দুটি পথসভা ছিল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের। দু’পক্ষের মধ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারই প্রতিবাদে এদিন উত্তপ্ত হয় বিধানসভা।





