West Bengal Assembly: স্বাধীনতার পর এই প্রথম! বোসের বাড়িতে রীতি ভাঙার শপথে যাবেন না স্পিকার
Oathtaking of Dhupguri MLA: রাজ্যপাল বোসের হাত ধরে বিধায়ক পদে শপথ নেবেন নির্মলচন্দ্র। তবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দু'জনেরই কেউই থাকছেন না সেখানে। এখনও পর্যন্ত এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: শনিবার বিধায়ক পদে শপথ নেবেন ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। রাজভবনেই হবে তাঁর শপথগ্রহণ। রাজ্যপাল বোসের হাত ধরে বিধায়ক পদে শপথ নেবেন তিনি। তবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দু’জনেরই কেউই থাকছেন না সেখানে। এখনও পর্যন্ত এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিমানবাবু ও শোভনদেববাবু কাল থাকছেন না রাজভবনে। আগামিকাল নির্মলচন্দ্রের শপথ গ্রহণে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে বিধানসভায় শাসক শিবিরের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়কে।
নির্মলচন্দ্র ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে জেতার পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও ‘বিধায়ক’ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। শপথগ্রহণ ঘিরে দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে টানাপড়েন চলেছে। রাজ্য-রাজভবন চিঠি চালাচালিও হয়েছে। মাঝে গত ২৩ সেপ্টেম্বর শপথগ্রহণের জন্য রাজভবন দিনক্ষণ স্থির করলেও, তা হয়ে ওঠেনি। মাস্টারমশাই নির্মলচন্দ্র কোথায় শপথ নেবেন, রাজভবনে নাকি বিধানসভায়? কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন? রাজ্যপাল নাকি স্পিকার? নাকি অন্য কেউ… তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। অবশেষে আগামিকাল রাজভবনেই বোসের হাত ধরে শপথ নিতে চলেছেন ধূপগুড়িতে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী।
সাধারণভাবে কোনও বিধায়কের শপথগ্রহণের ক্ষেত্রে তাও আবার উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কের ক্ষেত্রে রাজভবনে শপথগ্রহণের নজির অতীতে নেই। এসব ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদনক্রমে বিধানসভার স্পিকার কিংবা মনোনীত কেউ শপথবাক্য পাঠ করান। এটাই এতদিনের প্রচলিত রীতি ছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই প্রথম কোনও বিধায়ক শপথ নেবেন রাজভবনে। অতীতের সব নজির ভাঙতে চলেছে শনিবার নির্মলচন্দ্রের শপথ গ্রহণ। রাজ্যপাল বোসের হাত ধরে দীর্ঘদিনের পরিষদীয় রীতির ছন্দপতন হতে চলেছে।
রাজ্যপালের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আগেও আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাজভবনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তাঁরা। তাহলে কি গত কয়েকদিনের এই টানাপড়েনের কারণেই রাজভবনে নির্মলের শপথগ্রহণে যাচ্ছেন না বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা? রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, প্রতিবাদস্বরূপই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।