কলকাতা: ১৭ দিনের মাথায় শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। রাতে চিনার পার্কের আবাসনে ওঠেন। এতদিন পর বাড়ির বিছানায় শোওয়া। শনিবার ঘুম থেকে উঠতে একটু বেলা হয়ে গিয়েছে। সাড়ে ৯টায় ঘুম ভেঙেছে তাঁর। সূত্রের খবর, একদম কম কথা বলছেন অনুব্রত। যেটুকু না বললেই নয়। প্রাতঃরাশও খুব হালকা খেয়েছেন। ডাক্তার তাঁকে ‘কমপ্লিট বেড রেস্ট’ বলেছেন। চেষ্টা করছেন অক্ষরে অক্ষরে ডাক্তারের কথা মানতে। শুয়েই রয়েছেন বিছানায়। মাঝে মধ্যে উঠে ওষুধ খাচ্ছেন। অনুব্রত মণ্ডলের দু’টো করোনারি আর্টারিতেই ব্লকেজ ধরা পড়েছে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, একটি আর্টারিতে ৭০ শতাংশ এবং অন্যটিকে ৬০ শতাংশ ব্লক রয়েছে। আগামী চার সপ্তাহ ঘরেই পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।
সকাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ফ্ল্যাটে হাতে গোনা কিছু মুখ ঘোরাফেরা করছে। চার নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন দায়িত্বে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ-পথ্য এসেছে সকাল সকাল। চিনার পার্কের আবাসনের দোতলার ঘরটি অনুব্রতর। সূত্রের খবর, আপাতত এখানেই থাকবেন তিনি। যদিও অপর সূত্রের দাবি, আদৌ টানা চার সপ্তাহ বীরভূমের ‘কেষ্ট’ কলকাতার আবাসনে থাকতে চাইবেন কি না সেটাও দেখার। হতে পারে কিছুদিন থেকে বোলপুরে ফিরে গেলেন।
গত ৬ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ব্লকে ভর্তি হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যে ‘কেষ্ট’র বুকের পাটা দেখে জেলায় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায় বলে অভিযোগ ওঠে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, শাসকদলের সেই ‘হেভিওয়েট’ নেতার বুকেই সমস্যা ধরা পড়েছে। দু’টো করোনারি আর্টারিতেই ব্লকেজ। একটি আর্টারিতে ৭০ শতাংশ এবং অন্যটিকে ৬০ শতাংশ ব্লক রয়েছে। চার সপ্তাহ পরে দেখবেন চিকিৎসকরা। এই সময়টা বিছানায় শুয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।