Anubrata Mondal: আর্টারিতে ৭০ শতাংশ ব্লক, হাসপাতাল ছাড়ার আগে ‘দিল খুলে’ সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন অনুব্রত
Anubrata Mondal: অনেকে অবশ্য বলছেন, হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় সিবিআই হাজিরা এড়ানোর রক্ষাকবচও পেয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
সৌরভ দত্ত: হাসপাতাল থেকে ছুটি হচ্ছে, শুক্রবার দুপুরেই খবর পান অনুব্রত মণ্ডল। ওদিকে ডাক্তারবাবুরা খুব করে বলে দিয়েছেন, ছুটি পেলেও চারটে সপ্তাহ বিছানা ছেড়ে ওঠা যাবে না। যাকে বলে ‘কমপ্লিট বেড রেস্ট’। তাঁর যে দু’টো করোনারি আর্টারিতেই ব্লকেজ ধরা পড়েছে। সূত্রের খবর, একটি আর্টারিতে ৭০ শতাংশ এবং অন্যটিকে ৬০ শতাংশ ব্লক রয়েছে। তবু তো হাসপাতাল থেকে ছুটি। সেই আনন্দেই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টি মুখ করালেন বীরভূমের ‘কেষ্ট’। এসএসকেএম সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল এদিন বাড়ি যাওয়ার আনন্দে প্রচুর মিষ্টি আনান উডবার্ন ব্লকে। ব্লকে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টিমুখ করান তিনি। সূত্রের দাবি, সকলে অবশ্য শাসকদলের এই ‘হেভিওয়েট’ নেতার আনানো মিষ্টি খেতে পারেননি। এদিক ওদিক রাউন্ডে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। তবে এদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার খবরে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন অনুব্রত। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ১৭ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। গেরুয়া গেঞ্জি, মুখে মাস্ক। বেরিয়ে চালকের পাশের আসনে গিয়ে বসেন।
নিন্দুকেরা বলছেন, হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় সিবিআই হাজিরা এড়ানোর রক্ষাকবচও পেয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। অন্তত আগামী এক মাস কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। কেউ ডাকলেও না। চিকিৎসকরা তাঁকে বিছানায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চার সপ্তাহ পর এসএসকেএমে আসার আগে অনুব্রতর মায়োকার্ডিয়াল পারফিউসন ইমেজিং নামে একটি পরীক্ষা করাতে হবে।
এই পরীক্ষা আবার এসএসকেএম হাসপাতালে হয় না। হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কেমন, হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশী ঠিক মতো কাজ করছে কি না এই পরীক্ষা সে সব প্রশ্নেরই উত্তর এনে দেয়। এই পরীক্ষায় যদি দেখা যায় রক্তপ্রবাহে সমস্যা আছে, তা হলে করোনারি অ্যাঞ্জিও করাতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি বা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে।