Arms Factory: পোলট্রির ব্যবসা মার খেতেই বাড়িতে অস্ত্রের কারখানা, কে এই মহিউদ্দিন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ
Kultali: মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কুলতলি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলিতে বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানেই আন্ধারিয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে নানারকম অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। এই ঘটনার পিছনে কী উদ্দেশ্য, আরও বড় কোনও চক্র এর সঙ্গে যুক্ত কি না সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে তারা। কুলতলি এলাকার আন্ধারিয়া গ্রাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) ও কুলতলি থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়।
আন্ধারিয়ায় মহিউদ্দিন সর্দার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালায় তারা। সেখান থেকে আটটি ওয়ান শটার, তিনটি লং পাইপ গান ও প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বারুইপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশসুপার জোনাল ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “কুলতলি থানার আন্ধারিয়া বলে একটি জায়গা আছে। সেখানে বারুইপুর জেলা পুলিশের এসওজি ও কুলতলি থানার পুলিশ অভিযান চালায়। মহিউদ্দিন সর্দার নামে একজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে আটটি ছোট অস্ত্র, তিনটি বড় অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি পাওয়া গিয়েছে। মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এখনও খবর পেয়েছি উনি পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা করতেন। মাস ছয় হল এসব কাজ করছেন। বিশদে জানতে পুলিশ হেফাজতে নিতে চাই। এই ব্যক্তি এসব কোথা থেকে শিখল, কাউকে অস্ত্র বিক্রি করেছে কি না জানা দরকার।”
মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কুলতলি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, পোলট্রির ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ার পর মাস ছয়েক হল এই নতুন কারবারে যুক্ত হয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি এই পসার ছ’ মাসের মধ্যে ডালপালা মেলেছে। নাকি আরও আগে থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে এই ঘটনা ঘটছে। ধৃতকে জেরা করে এমনই সব প্রশ্নের উত্তর উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে এমন ঘটনা স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে।