Cattle Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমার
Satish Kumar: কিছুদিন আগেই সতীশ কুমারের স্ত্রীর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে এবার বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করল ইডি। এর আগে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে তাঁকে দিল্লিকে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই সতীশ কুমারের স্ত্রীর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এবার সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করল তারা।
এই মুহূর্তে দেশজুড়ে শোরগোল ফেলেছে দুই কেলেঙ্কারি। একদিকে গরু পাচারকাণ্ড, অন্যদিকে কয়লা পাচারকাণ্ড। সিবিআই, ইডি সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেলেঙ্কারির। একাধিক ‘হেভিওয়েট’ নামও উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে বিএসএফের কিছু সদস্যর নাম। গরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে গ্রেফতারের পর পরই সতীশ কুমারকে স্ক্যানারে নেন তদন্তকারীরা।
২০২০ সালের নভেম্বর নাগাদ সিবিআই সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করে। প্রায় সাত ঘণ্টার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কেন সতীশ কুমার নজরে আসেন? ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, এই সময় গরু পাচারকারীদের মাথার সঙ্গে যোগসাজশ ছিল এই সতীশের।
এই ঘটনার পর গরু পাচারকাণ্ড নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে বিএসএফের অন্দরে। সতীশ কুমারের মতো বিএসএফ কম্যান্ডান্টের সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগ নিয়ে খুশি নয় তারা। সীমান্ত রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব, সেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কম্যান্ডান্ট গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ায় বিএসএফ আরও তৎপর হয়। নিজেদের ইন্টেলিজেন্স উইং ব্যবহার করে বিএসএফ কর্তারা তদন্তও শুরু করেন বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকজনকে কোর্ট মার্শালও করা হয়।
আরও পড়ুন: Bomb Recovered : খাস কলকাতায় অটোর ভিতর উদ্ধার বোমা, গুলি; তবে কি বড় কোনও ছক, উঠছে প্রশ্ন