West Bengal BJP: সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশে ‘না’, ‘ফতোয়া’ জারি বঙ্গ বিজেপির
BJP Prohibits Media from entering party office: রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের ভয়ে এই নিদান জারি করা হয়েছে।
কলকাতা: ‘ফতোয়া’ জারি গেরুয়া শিবিরের। বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) দলীয় কার্য্যালয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল । কীভাবে দলের অন্দরের সব খবর বেরিয়ে যায়? তা জানতেই এই নিদান জারি করেছেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের ভয়ে এই নিদান জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালই বঙ্গ বিজেপির বৈঠক চলাকালীন কার্যত ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছিলেন দলের প্রথম সারির মহিলা নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। দলের ভার্চুয়াল বৈঠক চলাকালীন, মাঝ পথেই ‘বিরক্ত’ হয়ে উঠে গিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ নেত্রী বলেছিলেন, “এই সব ভাটের বৈঠকে আমাকে ডাকবেন না।” তাঁর এই আচরনের খবর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের এই খবর কীভাবে বাইরে বেরিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ।
উল্লেখ্য, বিজেপির সংবাদ মাধ্যমের উপর এই ধরনের ‘ফতোয়া’ জারির ঘটনা এই প্রথম নয়। অতীতেও কয়েক বছর আগে এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। সেই সময় বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ছিলেন অমল চট্টোপাধ্যায়। তিনিও দলীয় কার্য্যালয়ে এই ভাবে সাংবাদিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন । তখন অবশ্য কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ওই পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ।
গতকাল পৌরভোট নিয়েই ছিল বৈঠক বঙ্গ বিজেপির। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির আরও অনেক নেতা। সেই বৈঠক চলাকালীন আচমকা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপা। তাঁর এই ব্যবহার মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বঙ্গ বিজেপি। আজই তাঁরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী কারণে রূপার ওই ক্ষোভ তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, পৌরভোটের প্রার্থী নিয়েই আপত্তি রয়েছে তাঁর।
সেই পোস্টে দুর্ঘটনায় বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তার মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন রূপা। তিনি দাবি করেছেন, ‘তিস্তার মৃত্যু যে নিছক দুর্ঘটনা নয়, তা বেশ বুঝতে পারছি। আমি গৌরবের পাশে থাকব।’ তিস্তার স্বামীর নাম গৌরব। সূত্রের খবর, তিনি পুরভোটে টিকিট পাননি বলেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন রূপা।