কলকাতা : রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে (Bagtui Massacre) যে নৃশংসতা ঘটে গিয়েছে, তার সঙ্গে গোটা তৃণমূল জড়িত। এমনটাই মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শমীক বাবু বলেন, “তৃণমূল মুখপাত্রের শরীরী ভাষা, বীরভূমের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিক্রিয়া বলছে, এটা শুধু ভাদু – আনারুলের লড়াই নয়। এটাতে গোটা তৃণমূল জড়িত। আপার অনুমতি ছাড়া আনারুল পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কী করে! পরীক্ষা থেকে নিয়োগ — এ রাজ্যের সব আজ আদালতে চ্যালেঞ্জড হয়ে যাচ্ছে। ব্লক ভোট করতে গিয়ে এত লোকের মৃত্যু। মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।”
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বগটুই হত্যাকান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রামপুরহাট গণহত্যার জন্য আমরা আদালতে যাই। আরও অনেকে যায়। রাজ্যের কাজ দেখে সিবিআই তদন্ত চাইছে আদালত। সিট পুলিশে আস্থা নেই মানুষের।” সেই সঙ্গে আনারুলের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এবার যা করার সিবিআই করবে। তারা তদন্তভার পেয়েছে। দেখা যাক।”
বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র সেই সঙ্গে আরও বলেন, “রাজ্যের মানুষ শাসক দলে পুরো আস্থা রেখেছেন। বিরোধী নেই। ভোট তাই বলছে। কিন্তু আনিস, তপন কান্দু সবার পরিবার সিবিআই চাইছে। সিটের তদন্ত কার্যকারী নয়, বলছে আদালত। এই সরকারের আর কোনও তদন্ত নিয়ে মন্তব্যের নৈতিক বা রাজনৈতিক অধিকার নেই। আগে বিজেপি মরছিল। এখন মরছে তৃণমূল, মারছে তৃণমূল।” মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শমীক বাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একধারে গোয়েন্দা এবং প্রশাসক। তিনি সূচপুর দিয়ে সাজাতে বলেছেন। কোনও বিরোধী দল বিশ্বাস করে না সিট বিচার দিতে পারে। সবাই সিবিআই চাইছেন। বিজেপি ছাড়াও অনেকেই জনস্বার্থ মামলা করেছে।”
উল্লেখ্য, বগটুই হত্য়াকান্ডের পর বিজেপি শিবির শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছিল সিবিআই তদন্তের জন্য। গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সাত জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে এমন নৃশংস হত্যাকান্ড দেখেনি বাংলা। রামপুরহাটের এই হত্য়াকান্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলেই শহরের রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছিলেন কলকাতার নাগরিক সমাজ। পা মিলিয়েছিলেন অনেক শহরের বহু বিশিষ্ট জন।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre Protest March: বগটুই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথের দখল নিলেন বিশিষ্টরা
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: মুখ্যমন্ত্রীর বরাভয়েও কেউ সাহস পেলেন না, অন্ধকার নামলেই শশ্মানের নিঃস্তব্ধতা