Mamata Banerjee meets CV Ananda Bose: মুখ্যসচিবকে নিয়ে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, সাক্ষাৎ শেষে মমতা ‘নীরব’ থাকলেও বড় বার্তা বোসের
Mamata Banerjee meets CV Ananda Bose: গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে রাজভবন-নবান্নের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে তা চরম আকার ধারণ করে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।
কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। প্রায় আধ ঘণ্টা রাজভবনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি কিছু বলেননি।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের পর রাজভবনের মিডিয়া সেলের তরফে দুটি টুইট করা হয়। একটি টুইটে লেখা হয়, রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য একটি টুইটে লেখা হয়, “প্রকৃত বন্ধুত্ব প্রতিপ্রভার মতো। যখন সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়, তখন এটা আরও বেশি বিচ্ছুরিত হয়। যদিও আমরা আলাদা হতে পারি, কিন্তু গাছের শাখার মতো পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে থাকি।”
এই খবরটিও পড়ুন
গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে রাজভবন-নবান্নের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে তা চরম আকার ধারণ করে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।
এরপর বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন চলেছিল। তাঁদের রাজভবনে শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, দুই বিধায়ক রাজভবনে শপথ গ্রহণে রাজি হননি।
রাজভবন-নবান্নের সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত পাওয়া যায় কয়েকদিন আগে। গত সোমবার বিধানসভায় নবনির্বাচিত ৬ বিধায়ক শপথ নেন। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল। বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় বিধানসভায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২ দিন আগে আবার রাজ্যের সুপারিশ মেনে ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। এবার রাজভবনে গেলেন মমতা। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। তবে মুখ্যমন্ত্রী কিছু না বললেও রাজভবনের তরফে দুটি বার্তায় বরফ গলার ইঙ্গিত স্পষ্ট বলে মনে করছেন অনেকে।