পরীক্ষার পর কোভিড রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে? দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু বাংলায় এর আসল কারণ ফাঁস নাইসেডের

রাজ্যে কোভিড (COVID) টেস্ট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন নাইসেডের (NICED) ডিরেক্টর শান্তা দত্ত।

পরীক্ষার পর কোভিড রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে? দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু বাংলায় এর আসল কারণ ফাঁস নাইসেডের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 1:12 PM

কলকাতা: হাতে আছে দিনে ৩-৪ হাজার করোনা পরীক্ষার কাঠামো। অথচ নমুনা পাঠানো হচ্ছে ১২০০। কাজেই লাগছে না নাইসেডের পরিকাঠামো। রাজ্যে কোভিড (COVID) টেস্ট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন নাইসেডের (NICED) ডিরেক্টর শান্তা দত্ত। তিনি দাবি করেছেন, তাঁদের হাতে রয়েছে শক্তিশালী কোবাস যন্ত্র। তা দিয়ে রোজ ৩-৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন কোভিড টেস্টের প্রবল চাপ, তার মধ্যেও নমুনা পাঠানো হচ্ছে কেবল ১২০০। অত্যধিক চাপ সত্ত্বেও অত্যাধুনিক কোবাস যন্ত্র আদতে কাজেই লাগানো হচ্ছে না। এমনটাই দাবি করলেন নাইসেড কর্ত্রী।

অভিযোগ উঠছে, পরীক্ষার বেশ কিছুদিন পরই রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেন করোনা রোগীরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে এই অভিযোগ। এরই মধ্যে কোভিড পরীক্ষা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল। পূর্ব ভারতের প্রথম দু-তিনটি রাজ্যের মধ্যে বাংলা গত বছরই কোবাস ৮৮০০ যন্ত্রটি পেয়েছিল। এটি নাইসেডে প্রতিস্থাপিত করা হয়। গত বছর অগাস্ট মাস থেকে সেই যন্ত্রটি কার্যকর হয়েছে।

শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, কোবাসের মধ্যে দৈনিক ৩-৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু নাইসেডের সঙ্গে ট্যাগ রয়েছে সেন্ট্রাল হাসপাতালগুলি যেমন ইএসআই, গার্ডেনরিচ হাসপাতাল, কম্যান্ড হাসপাতাল- এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকেই যে নমুনাগুলি আসছে, সেগুলিই নাইসেড টেস্ট করছে। এছাড়াও বেলেঘাটা আইডি ও শিশু হাসপাতালের কিছু নমুনা সেখানে যাচ্ছে। কিন্তু সংখ্যা অত্যন্ত কম। অর্থাৎ কোবাস যন্ত্রটিকে সে অর্থে কাজেই লাগানো যাচ্ছে না।

এর কারণ হিসাবে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের বক্তব্য, তাদের যা ল্যাব ও পরিকাঠামো রয়েছে, তার ওপরেই তারা নির্ভর করতে চায়। নমুনা নাইসেডে পাঠাতে আগ্রহী নয়। অর্থাৎ রাজ্য নিজেদের পরিচালিত ল্যাবগুলিতেই হাসপাতালের নমুনাগুলিকে রাখতে আগ্রহী। রাজ্য খুব বেশি করে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে নমুনা পাঠাতে আগ্রহী নয়।

আরও পড়ুন: করমুক্ত করা হোক কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম, অক্সিজেন সিলিন্ডারের! ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

এ প্রসঙ্গে নাইসেড কর্ত্রী শান্তা দত্ত বলেন, “ওরা যদি মনে করে, আমাদের বেশি পাঠাবে, আমরা করে দেব। আমরা দৈনিক ৩-৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারব। কিন্তু এখন আপাতত হচ্ছে হাজার বারোশো পার ডে। যদি আমাদের নমুনা দেবে মনে করে, তাহলে করে দেব। উই আর ওপেন।”