করমুক্ত করা হোক কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম, অক্সিজেন সিলিন্ডারের! ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
বাংলায় অতিমারি পরিস্থিতিতে (West Bengal Corona Update) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
কলকাতা: বাংলায় অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এবার অক্সিজেনকে করমুক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এর আগে মমতা চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে কোভিড টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এবারের চিঠিতে কোভিডের ওষুধের ট্যাক্স ছাড়ের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ট্যাক্স ছাড়ের আবেদন জানানো হয়েছে মেডিক্যাল সরঞ্জামের ওপরেও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের যে অবস্থা রয়েছে, সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে কোভিড চিকিৎসায় আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম আরও প্রয়োজন। বিদেশ থেকে বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা সেগুলো পাঠাতে চায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে একটা বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাস্টমস ডিউটি ও আইজিএসটি অর্থাৎ ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি। সেই কর যাতে মুক্ত করা হয়, তার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বলা রাখা প্রয়োজন, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্য বিতরণের জন্য কোভিড চিকিৎসা সরঞ্জামের আইজিএসটি মকুব করেছিল। কিন্তু নবান্নের দাবি, আইজিএসটি মকুবের ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশ এই কর মকুব করতে বলেছিল। সার্বিকভাবে যাতে করমুক্ত করা হয়, তার আবেদন জানানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, প্রায় সব পক্ষ থেকেই করোনার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর থেকে কর ছাড়ের দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কারণ, এটি পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই বাংলায় আরও বেশি পরিমাণ অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন যে বাংলায় ঠিক কত পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। কত অক্সিজেন কোভিড রোগীদের প্রয়োজনে লাগছে। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় যে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে, সে বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। তবে মোটা অক্ষরে চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, আগামী ৭-৮ দিনে রাজ্যে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে।