Bratya Basu: তৃণমূল জমানায় কী কী উন্নতি হয়েছে ডিরোজিও কলেজে, আলাদা তথ্যচিত্র বানানোর পরামর্শ ব্রাত্যর
Bratya Basu: রজত জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ডিরোজিও কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে কলেজ বিকশিত হল, সেই নিয়ে ১২ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়। আর সেই তথ্যচিত্র দেখার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষকে ব্রাত্যর পরামর্শ, ২০১১ সালের পর থেকে কী কী উন্নতি হয়েছে কলেজে, তা নিয়ে আরও একটি তথ্যচিত্র বানানোর জন্য।
কলকাতা: বাংলার উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এক অন্যতম উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান ডিরোজিও কলেজ। ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরুর পর পায়ে পায়ে ২৫ বছর পূরণ করে ফেলল ডিরোজিও কলেজ। গতকাল বুধবার ডিরোজিও কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। রজত জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ডিরোজিও কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে কলেজ বিকশিত হল, সেই নিয়ে ১২ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়। আর সেই তথ্যচিত্র দেখার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষকে ব্রাত্যর পরামর্শ, ২০১১ সালের পর থেকে কী কী উন্নতি হয়েছে কলেজে, তা নিয়ে আরও একটি তথ্যচিত্র বানানোর জন্য।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যখন এই কলেজ তৈরি হয়েছিল, তখন বাংলায় বাম সরকারের রাজত্ব। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদল। ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ডিরোজিও কলেজের যে নাম-যশ-খ্যাতি হয়েছে, তা আসলে তৃণমূল বাংলার ক্ষমতায় আসার পরেই হয়েছে বলে এদিন বুঝিয়ে দেন ব্রাত্য বসু। তথ্যচিত্রের প্রসঙ্গে বলার সময়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “তথ্যচিত্রে সবিস্তারে এই কলেজের তৈরি হওয়া, বিবর্তন এবং কলেজ কীভাবে ক্রমশ আরও উন্নত সোপানে গেল, তার একটা বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।”
কিন্তু ব্রাত্য়র দাবি, এই কলেজের সত্যিকারের উন্নয়ন হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই। বললেন,”খুব সবিস্তারে বলা হয়েছে, এই কলেজের তৈরি হওয়ার দিনগুলির কথা। কিন্তু এই কলেজের যদি কোনও সত্যিকারের উন্নয়ন হয়ে থাকে, সারা পশ্চিমবঙ্গে মহাবিদ্যালয় তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনও নৈতিক নিদর্শন যদি থেকে থাকে, তা পূর্বতন সরকারের কেউ নন, তিনি আমাদের বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন এসেছে, কীভাবে উন্নতির নতুন শিখরে পৌঁছে গিয়েছে, তারও উদাহরণ তুলে ধরেন ব্রাত্য বসু। বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আজ গোটা ভারতবর্ষে আমরা উচ্চশিক্ষায় একেবারে উপরের দিকে আছি। এই কলেজের মূল পরিচয় তৈরি করা, পরিকাঠামো বাড়ানো ও সেটাকে ছড়িয়ে দেওয়া, সেটা আমাদের সরকারের সময়ে হয়েছে। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন।”
এরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে ব্রাত্যর পরামর্শ, ২০১১ সালের পর থেকে কী কী পরিবর্তন এসেছে এই কলেজে, কী কী উন্নতি হয়েছে কলেজের, সেই নিয়েও একটি তথ্যচিত্র বানানোর জন্য। মঞ্চ থেকেই বললেন, “২০১১ সালের পর থেকে এই কলেজে কী কী হয়েছে, সেটা নিয়ে একটা তথ্যচিত্র বানাতে বলব। ২০১১ সালের পর থেকে আমাদের সরকার এই কলেজকে কী কী উন্নতির সোপানে নিয়ে গেল। তাহলে জনমানসে দুটি ভার্সনই থাকবে। মানুষ ঠিক করে নেবে কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক।”