Governor C V Ananda Bose: ইডির ডিরেক্টরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক, এরপরই রাজভবনে তলব মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিকে

কলকাতা: সন্দেশখালিতে ইডির অফিসারদের উপর হামলার ঘটনার পর সোমবার মধ্যরাতেই কলকাতায় এসেছেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে তাঁর। আর সেই বৈঠকের পরই এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল বোস। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের কাছ থেকে রেশন দুর্নীতি মামলার বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে আসতে বলেছিলেন রাজ্যপাল।

উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়ে গতসপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তীব্র জনরোষের মধ্যে পড়ে রক্তারক্তি কাণ্ড হয়ে গিয়েছিল। মাথা ফেটেছিল ইডির অফিসারদের। ইডির তিন জন অফিসারকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই একই দিনে রাতে বনগাঁ থেকে দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ফেরার পথেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ইডিকে। তখনও ইডির গাড়ি লক্ষ্য ইট বৃষ্টি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ইডির একটি গাড়ির পিছনের দিকের কাঁচ ভেঙে গিয়েছিল।

সন্দেশখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা প্রত্যেকের জন্য লজ্জার। সরকারকেও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সরকার যদি হিংসা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও মুখ খুলেছেন সন্দেশখালির ঘটনায়। তিনিও কড়া ভাষায় জানিয়েছেন,  যারা আইন ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এসবের পরও ইডির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল। ইডির তরফে যে সব অভিযোগগুলি করা হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকগুলি ধারাই বাদ দিয়ে বেশিরভাগ জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল ইডি।