Jagdeep Dhankhar:’যা বলছি, পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ’, বাণিজ্য সম্মেলন মিটতে না মিটতেই ফের সুর চড়ালেন রাজ্যপাল
Jagdeep Dhankhar: "২০১৮ সাল, ২০১৯ সাল এবং ২০২১ সালের নির্বাচনে রাজ্যে হিংসা হয়েছে। নির্বাচন সারা দেশে হয়, কিন্তু রক্ত এখানে ঝড়ে। প্রত্যেককে এর জবাব দিতে হবে। আমি যা বলছি, পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ।" মন্তব্য রাজ্যপালের।
কলকাতা : বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) কথা থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন এবার হয়ত রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণে ইতি পড়তে চলেছে। প্রশাসক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাণিজ্য সম্মেলন মিটতে না মিটতেই ফের রাজ্যপালের নিশানায় মমতার সরকার। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বাস্তবতা স্মরণ করিয়ে দেন ধনখড়। বললেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ভোট হয়নি, বর্বরোচিত হিংসা হয়েছে। চারিদিকে শুধুই হিংসা চলছে। নারী ও শিশুদের উপর অত্যাচার চলছে। বাংলা এখন গর্ব করার মতো জায়গায় নেই। রাজ্য সরকারকে বাংলার ভাবমূর্তি ঠিক করতে হবে।
রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে হিংসার প্রসঙ্গও রবিবার উঠে আসে রাজ্যপালের কথায়। বললেন, “২০১৮ সাল, ২০১৯ সাল এবং ২০২১ সালের নির্বাচনে রাজ্যে হিংসা হয়েছে। নির্বাচন সারা দেশে হয়, কিন্তু রক্ত এখানে ঝড়ে। প্রত্যেককে এর জবাব দিতে হবে। আমি যা বলছি, পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ।” এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল যেভাবে সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে, সেই নিয়েই নিজের ক্ষোভ উগরে দেন জগদীপ ধনখড়। অতীতের সেই আক্রমণের কথা তুলে ধরে বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পেগাসাস রাজভবনে আছে। সৌগত রায় বলছেন আমি ম্য়াসেজ করি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তাজ বেঙ্গল থেকে খাবার ঢোকে রাজভবনে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, গত আড়াই বছরে কোনওদিন খাবার আসেনি।”
অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গেও তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাতে রাজ্যপালের সাফ জবাব, “তাঁর কীসের অসুস্থতা তাঁকে জিজ্ঞেস করুন। পশ্চিমবঙ্গে সব ওপেন সিক্রেট।” মুখ খোলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে গেট ভেঙে পডু়য়াদের ঢুকে যাওয়ার প্রসঙ্গেও। বলেন, “আমার কাছে উপাচার্যের ম্যাসেজ এসেছিল। সেটি আমি রাজ্যের মুখ্যসচিবের নজরে আনি। আরও খারাপ কিছু হতে পারত।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের আগের নৈশভোজে মমতা, মহুয়া, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে হাসিমুখে আলাপচারিতায় দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কিন্তু তারপরই আবার বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন থেকে কেন্দ্রকে খোঁচা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, এজেন্সি দিয়ে শিল্পপতিদের যাতে বিরক্ত না করা হয়, কেন্দ্রকে সেই বিষয়টি যেন বলেন রাজ্যপাল।