Extra Marital Affair: স্বামীর সঙ্গে পরস্ত্রীর সম্পর্ক, এরপরই ঘর থেকে উদ্ধার যুবতীর ঝুলন্ত দেহ…
Thakurpukur: এলাকার লোকজন জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন ওই বধূ ঝুলছে। পরে সকলে নামিয়ে হাত পায়ে মালিশ করে। সবরকম চেষ্টা করা হয় যদি বেঁচে যায়।
বেহালা: স্বামীর অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক। মানতে পারেননি স্ত্রী। অভিযোগ, স্বামীর এমন আচরণে পাশে পাননি শাশুড়ি, ননদকে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। এরপরই যে মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে চড়াও হন এলাকার লোকজন। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। ঠাকুরপুকুরের মহেশতলা ব্লকে সোমবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ওই যুবতীর স্বামীর অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে পারায় চরম সিদ্ধান্ত নেন। এলাকার লোকজনের দাবি, দিনের পর দিন শীলার স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে। তা নিয়ে প্রায় প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুনতে পেতেন পড়শিরা। তবে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ওই যুবকের মা কিংবা বোন এ নিয়ে একবারের জন্যও প্রতিবাদ করেননি। শাসন করেননি ছেলেকে। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই মহিলার মেয়ে জানান, এক সময় মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকলেও এখন সেসব অতীত।
এলাকার লোকজন জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন ওই বধূ ঝুলছে। পরে সকলে নামিয়ে হাত পায়ে মালিশ করে। সবরকম চেষ্টা করা হয় যদি বেঁচে যায়। ডাক্তার ডাকা হয়। কালীতলা আশুতি থানার পুলিশও আসে। পাশাপাশি বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুতুল মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশীর কথায়, “স্বামীর অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা। এটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। প্রায়ই ঝামেলা হতো। আমরা কিছু বলতে পারতাম না। কারণ ওদের সংসারে শাশুড়ি, ননদ রয়েছে। তারা কিছু বলতে দেয় না। তবে আজ যে কী হল, কিছুই বুঝলাম না। আমরা বলেছিলাম, যে মহিলাকে নিয়ে সমস্যা তার বাড়িতে গিয়ে কিছু বলতে। ওর শাশুড়ি, ননদ এগিয়ে আসেনি। একা কী করবে মেয়েটা? আর ওরা গেলে আমরা সঙ্গে যেতে পারি। নাহলে কিছু বলা যায়? তবে একটা বাচ্চা মেয়ের অকালে জীবনটা চলে গেল।”
যদিও যে মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের কথায়, “আমার মা এক সময় ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। তাতে শরীর খারাপ হয়ে যায়। অনেক কষ্ট করে মাকে সুস্থ করেছি। অনেক মাসই কথাবার্তা একেবারেই বন্ধ ছিল। বরং যে মারা গিয়েছে, সে আমার বাবার মোবাইলে ফোন করত। এটা ওটা বলে হুমকি দিত। আমাকে নিয়ে বলত, মেয়ের এই করব, ওই করব। মানছি মায়ের সঙ্গে একটা সময় কথাবার্তা হতো। বাড়িতে অশান্তি, এমনকী বাড়িতে এসে ঝামেলা। এসব কার ভাল লাগে? তারপর সব বন্ধ হয়ে যায়। এখন এই অবস্থা।”