Recruitment Scam: ‘আমি সবই বলব’, ইডির ঘরে ঢোকার আগে বলে গেলেন গোপাল দলপতি
ED: ইডি যখন গোপাল সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে, জানতে পারে বেশ কয়েক বছর আগে একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গোপাল দলপতিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ।
কলকাতা: তাপস মণ্ডলের কথার ভিত্তিতেই গোপাল দলপতি (Gopal Dalpati) আসছেন ইডি দফতরে। মঙ্গলবার সকালেই সে খবর সামনে আসে। বেলা বাড়তে সে খবরে সিলমোহর দিল সিজিও কমপ্লেক্সের ছবিটা। মুখে মাস্ক, ইডি অফিসে এলেন গোপাল দলপতি। পিছনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে তাপস মণ্ডল। অর্থাৎ ‘সারথি’ তাপসেই ‘গোপাল প্রাপ্তি’ হল ইডির। কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, এই গোপাল দলপতি কোটি কোটি টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। সিজিও কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন গোপাল। বললেন, কুন্তল ঘোষ যে অভিযোগ করেছেন, তা ভিত্তিহীন। এদিন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে আসেন গোপাল দলপতি। যে গোপালের নাম একাধিকবার কুন্তলের মুখে শোনা গিয়েছে। এমনও কুন্তল জানিয়েছেন, সকলের কাছ থেকেই টাকা নিতেন তিনি।
কিন্তু কে এই গোপাল দলপতি? ইডি যখন গোপাল সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে, জানতে পারে বেশ কয়েক বছর আগে একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গোপাল দলপতিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে জানা যায়, জেল থেকেও তিনি বেশ কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে গোপাল দলপতির খোঁজ নেই।
এই গোপাল দলপতির সন্ধান এনে দেন তাপস মণ্ডল। যাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করেছেন কুন্তল। তবে তাপস সেসব গুরুত্ব না দিয়ে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তদন্তে ইডিকে সব তথ্যই দেবেন। ঠিক যেমন এনে দিলেন গোপালকে। সোমবার বেলার দিকে ইডির দফতরে একটি ফোন আসে। সূত্রের খবর, ফোনের ওপারে ছিলেন গোপাল দলপতি। তিনি জানান, ইডির অফিসে আসবেন। বয়ানও রেকর্ড করাবেন। গোপালের এই ফোন নিয়ে বহু চর্চা শুরু হয়। এরপরই মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, তাপস মণ্ডলের মধ্যস্থতাতেই গোপালের ফোনাফুনি।
এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে গোপাল দলপতি বলেন, “কেন কুন্তল আমার নাম বলেছে জানি না। আমি ওকে চিনি। কিন্তু ও যা বলছে সব ভুল, মিথ্যা। ঘুরে আসি সব বলব, আমি সবই বলব।” অন্যদিকে তাপস মণ্ডল বলেন, “ইডি আমাকে বলেছিল গোপাল দলপতি আপনার জেলার লোক। ওর বিষয়ে একটু খোঁজখবর করে দেখুন। আমি সেই মতো আমার জেলায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম গত ২৮ তারিখ। সেখানে গিয়ে গোপালের খোঁজ করি, দেখা করে হাজিরা দিতে বলেছিলাম। আমার ছাত্রছাত্রীরা টাকা দিয়েছিল ওর কাছে। গোপালের দু’জন প্রার্থী ছিল ,তাই পরিচয় করিয়েছিলাম কুন্তলের সঙ্গে। গোপাল কী বলবে, এটা তদন্তের বিষয়।”