Governor CV Ananda Bose: রাজ্যপালের জন্য রাখা হল বাংলার শিক্ষক, রাজভবনেই চলবে ক্লাস
Governor: গত ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে বাংলা ভাষার হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের।
কলকাতা: সরস্বতী পুজোর দিন হাতেখড়ি হয়েছিল। এবার খাতায় কলমে বাংলা শেখা শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। বাংলা শেখার জন্য শিক্ষকও রাখা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর, প্রতিদিন এক ঘণ্টা বাংলা শেখার জন্য সময় রাখবেন রাজ্যপাল। বিকাশ ভবনের তরফে এই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শহরের নামকরা স্কুলের বাংলার এক শিক্ষক রাজভবনে যাবেন রাজ্যপালকে বাংলা পড়াতে। এমনও সূত্রের দাবি, এই শিক্ষক বর্তমান উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সিলেবাসের অন্যতম কারিগর। রাজ্য়ের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে বাংলার যে খ্যাতনামা শিক্ষকরা আছেন, তাঁর মধ্যে অন্যতম তিনি। এমনও রাজভবন সূত্রে খবর, সোমবার সেই শিক্ষক রাজভবনে গিয়েছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে বাংলা ভাষার হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। এক শিশুর হাত ধরে স্লেটে ‘অ’ লেখেন তিনি। একইসঙ্গে দুই শিশুর কাছ থেকে ‘মা’ ও ‘ভূমি’ শব্দও শেখেন। মুখে শোনা যায় ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় হিন্দ’। শুধু তাই নয় এর আগে এবং পরে একাধিকবার বাংলা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল বোস। একাধিক অনুষ্ঠানে বাংলার প্রশস্তিও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তবে রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে কিন্তু কম তরজা হয়নি। বিজেপি সেই অনুষ্ঠানই বয়কট করেছিল। সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও প্রশ্ন তুলেছিলেন, “এই বয়সে হাতেখড়ি মানে কী? কতগুলি বিষয় আছে যেগুলি এড়িয়ে যেতে হয়। এটিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল।”
মহম্মদ সেলিম আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যপাল যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হাতেখড়ি নিতেন, তাহলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার পরিষ্কার চিত্রটি সামনে আসত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও টুইটারে এই অনুষ্ঠান ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও রবিবার এই রাজভবন থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিবৃতি এসেছে।
কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় ঘেরাওয়ের অভিযোগের পরই এই বিবৃতি নিয়ে নতুন করে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষই বলেছেন, “ক’দিন আগে হাতেখড়ি করালেন রাজ্যপালের। এবার যখন তিনি পড়তে ও বুঝতে শিখলেন দেওয়াল লিখনটা, তিনি যখন সত্যি কথা বলতে শুরু করলেন, তখন তিনি খারাপ হয়ে গেলেন।”