Kolkata Medical College Hospital: মেডিক্যালে পাঁচ পড়ুয়ার অনশন, তিনজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে, দাবি সতীর্থদের
Kolkata Medical: এদিন অনশন স্থলেই পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
কলকাতা: ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে অনশনে বসেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Kolkata) পড়ুয়াদের একাংশ। ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই অনশনরত পাঁচ পড়ুয়ার মধ্যে তিনজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে শনিবার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের সামনে পড়ুয়াদের গান, আবৃত্তি হয়। পাশাপাশি কেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন, নির্ধারিত সময়ে কেন নির্বাচন করানো হচ্ছে না, তা নিয়ে এদিন পড়ুয়ারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। অন্যদিকে সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ বিতর্কে এদিন অনশনমঞ্চেই ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সবসময়ই তাঁরা ছাত্রদের পাশে রয়েছেন। বারবার এসে দেখাও করে যাচ্ছেন। এদিন সকালেই একজন শিক্ষক-চিকিৎসক আসেন হাসপাতালে।
এদিন অনশন স্থলেই পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। এক ছাত্রের কথায়, “আমাদের এখানে পাঁচজন ছাত্র ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশনে রয়েছে। রণবীর, রীতমের শরীর খারাপ হচ্ছে। রীতমের জ্বরও রয়েছে। আমাদের স্যরদের কাছে অনুরোধ দ্রুত এর নিষ্পত্তি হোক। আরও একটা কথা প্রিন্সিপাল স্যরকে বলতে চাই, যে সমস্ত ফ্যাকাল্টি মেম্বার পড়ুয়াদের গায়ে হাতে তুলেছিলেন তাঁরা যেন অনশন মঞ্চের সামনে না আসেন। কারণ তাঁদের দেখে অনশনকারীরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। তাদের শরীর আরও খারাপ হতে পারে।”
দেবাশিস বসু বলেন, “কেন সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ ছিল তা তো আমি জানি না। আমার কথায় তো হয়নি। আমি তো এখানে অবরুদ্ধ ছিলাম। তাৎক্ষণিকভাবে হয়ত কোনও সমস্যা হয়েছিল, তার জন্য বন্ধ ছিল। তারপর আবার খুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ তো অনেক রকমই ওঠে। সেটার সত্যতা আছে কি না তাও তো দেখার। ল্যাব সাময়িক কেন বন্ধ ছিল সেটা তো আমার জানার কথা নয়।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্ররা অসুস্থ হবে, অনশন করবে তা কখনওই কাঙ্খিত নয়। এটার সমাধান হোক, সেটাই কাম্য।