Kolkata Medical College: মঙ্গলে ফের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব? অনশন-জট যে কাটছেই না
Kolkata Medical College: পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়া অনশনে। তিনজন এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি অন্যান্য আন্দোলনকারীদের। যা নিয়ে সরব চিকিৎসক সংগঠনেরই একাংশ।
কলকাতা: ছাত্রভোট নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medical College Kolkata) জটিলতা। ঘেরাও অবস্থান, দফায় দফায় বৈঠকেও কাটছে না জট। জল গড়িয়েছে অনশনে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল যে শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যেতে হয় স্বাস্থ্যসচিবকে। তবে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম গেলেও সুরাহা মেলেনি বলেই সূত্রের দাবি। সমাধানের খোঁজে মঙ্গলবার ফের অনশনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন স্বাস্থ্যসচিব নিজে। কিন্তু কেন ছুটে আসতে হল স্বাস্থ্যসচিবকে? সূত্রের খবর, এই প্রথম স্বাস্থ্যসচিব ছুটে এলেন মেডিক্যালে। তবে সূত্রের খবর, শনিবার আড়াই ঘণ্টার বৈঠকেও সমাধান বের হয়নি। ছাত্ররা ভোটের দাবিতে অনড়। স্বাস্থ্যসচিবের বারবার আর্জিতেও অনশন তোলেননি আন্দোলনকারীরা।
পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়া অনশনে। তিনজন এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি অন্যান্য আন্দোলনকারীদের। যা নিয়ে সরব চিকিৎসক সংগঠনেরই একাংশ। পাল্টা সাফাই দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষও। চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, “ওদের ব্লাড গ্লুকোজ কমে গিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। আমরা জানি না ইউরিন পরীক্ষার রিপোর্ট কী আছে। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ যদি হস্তক্ষেপ না করে, এই অনশন চলতে থাকলে জীবনসংশয় হয়ে যেতে পারে।”
অন্যদিকে চিকিৎসক-অধ্যাপক দেবাশিস বসুর বক্তব্য, “অধ্যক্ষ, এমএসভিপি নিঃসন্দেহে দিনরাত এটা নিয়ে ভাবছেন। সকলে যথেষ্ট চিন্তিত। আমাদের ছাত্ররা অসুস্থ হবে, সেটা কখনওই আমরা চাই না।” কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যভবনের পাশাপাশি নবান্নেও সরাসরি যোগাযোগ করছি। ছাত্রদের শরীরের বিষয়টা না হয় আমরা দেখলাম। কিন্তু ওদের বাকি দাবি তো আমাদের হাতে না।” অন্যদিকে এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারীর কথায়, “দেখা যাক ওপরওয়ালা আর স্বাস্থ্যভবন কী ভাবছে।”
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি ঘিরে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের। মেডিক্যাল ছাত্র অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। তাদের কথায়, ২২ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক হয়েছিল। এরপরই অজানা কারণে তা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়। যা নিয়ে আমরণ অনশনের ডাক দেয় পড়ুয়ারা।