SSKM: পুলিশই করছে বেডের ব্যবস্থা! মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের পরও ‘রেফার রোগ’ সারছে না SSKM-এর

SSKM: বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমে গিয়েছিলেন। রেফার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। তারপরও শুক্রবার এই ছবি।

SSKM: পুলিশই করছে বেডের ব্যবস্থা! মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের পরও 'রেফার রোগ' সারছে না SSKM-এর
অষ্টম মণ্ডলের পরিবার। এসএসকেএমের সামনে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 2:57 PM

কলকাতা: বৃহস্পতিবারই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শুক্রবার এস‌এসকেএম (SSKM) ট্রমা কেয়ারে ফের রোগী হয়রানির অভিযোগ উঠল। যদিও টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় সেই ছবি বন্দি হতেই এগিয়ে আসেন হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। ঘণ্টাখানেক আগেও যে রোগীকে ‘নো বেড’ শুনতে হয়েছে, সেই রোগীকেই শয্যার ব্যবস্থা করে দিল পুলিশ। এ নিয়ে অবশ্য রোগীর আত্মীয়দের কারও কারও প্রশ্ন, সংবাদমাধ্যম দেখলে বেড পাওয়া যাবে, না হলে অসহায় অবস্থায় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, এটা কেমন হিসাব?

মালদহের অষ্টম মণ্ডল। তিনদিন আগে মা আরতি মণ্ডলকে হারিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মাথায়, কানে, ঘাড়ে চোট পান অষ্টম। দুপুর ২টো নাগাদ মালদহ মেডিক্যাল কলেজে অষ্টমকে ভর্তি করানো হয়। কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল অষ্টমের। রাত ১০টায়ও সেই রক্ত বন্ধ হয়নি। এরপরই মালদহ থেকে এস‌এসকেএমে অষ্টমকে রেফার করে দেওয়া হয়। কিন্তু এসএসকেএমে এসেও খুব একটা সুবিধা হয়নি প্রথমে, দাবি অষ্টমের শ্যালকের।

বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী ট্রমা কেয়ারের পরিষেবা নিয়ে বলেছিলেন, আগে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। তারপর বাকি সব প্রক্রিয়া। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৭টায় ট্রমা কেয়ারে অষ্টমের পরিজনেরা পৌঁছলে সাড়ে সাতটায় শুরু হয় ড্রেসিং। পাঁচ ঘণ্টা জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখার পর দুপুর ১২টা নাগাদ জানিয়ে দেওয়া হয় বেড নেই। রোগীকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এস‌এসকেএমের ট্রমা কেয়ার।

এদিকে ট্রমা কেয়ারের বাইরে টিভি নাইনের ক্যামেরা দেখে নিজের অসহায়তার কথা জানান অষ্টমের পরিজনরা। সংবাদমাধ্যমে তাঁদের বিবৃতি দিতে দেখে এগিয়ে আসেন এস‌এসকেএমের কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। এরপর‌ই এক পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা যায়, সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিলে কী রোগী ভর্তি হবে? অষ্টমের পরিবারের বক্তব্য, ঠিকই তো! সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে রোগী ভর্তি করতে হবেই বা কেন? রোগী ভর্তি করা তো হাসপাতালেরই কাজ। অষ্টম মণ্ডলের শ্যালক অসীম মণ্ডলের কথায়, “সকাল সাড়ে ১১টায় বলল ভর্তি হবে না। ক্যামেরা দেখে ১টার সময় ভর্তি নিল। কিন্তু কেন এরকম সিস্টেম হবে?”