AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chandranath Sinha: কালো টাকা সাদা করতে কেন্দ্রের প্রকল্পেই হাতিয়ার চন্দ্রনাথের? বিস্ফোরক তথ্য ইডির

Minister Chandranath Sinha: ২০১৬ সালে কেন্দ্র ইনকাম ডিক্লারেশন স্কিম (IDS) চালু করে। এই প্রকল্পে রক্ষাকবজ দিয়েছিল কেন্দ্র। ৪৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে অঘোষিত (লুকিয়ে রাখা) আয়ের হিসেব দিলে, তা নিয়ে তদন্ত হবে না বলে কেন্দ্র জানিয়েছিল। সেই সুযোগ নিয়েছিলেন বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ।

Chandranath Sinha: কালো টাকা সাদা করতে কেন্দ্রের প্রকল্পেই হাতিয়ার চন্দ্রনাথের? বিস্ফোরক তথ্য ইডির
চন্দ্রনাথ সিনহা (ফাইল ফোটো)Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2025 | 12:32 PM
Share

কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইডির বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ইডি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফের শুনানি। এই পরিস্থিতিতে ইডি সূত্রে খবর, নিজের কালো টাকা সাদা করতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পকেই হাতিয়ার করেছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী। ইডির নথিতে সেই কথা লেখা রয়েছে।

ইডি সূত্রে খবর, ৯০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে ২ কোটি টাকার সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা। কীভাবে কালো টাকা সাদা করলেন তিনি? লুকিয়ে রাখা কালো টাকা মূলস্রোতে নিয়ে আসতে ২০১৬ সালে কেন্দ্র ইনকাম ডিক্লারেশন স্কিম (IDS) চালু করে। এই প্রকল্পে রক্ষাকবজ দিয়েছিল কেন্দ্র। ৪৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে অঘোষিত (লুকিয়ে রাখা) আয়ের হিসেব দিলে, তা নিয়ে তদন্ত হবে না বলে কেন্দ্র জানিয়েছিল। সেই সুযোগ নিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। ইডির নথিতে লেখা হয়েছে, ৯০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে ২ কোটি টাকার হিসেব দিয়েছিলেন। ওই ২ কোটি টাকার আয়ের উৎস নিয়েও সন্দেহ ইডি অফিসারদের। চাকরি বিক্রির টাকা ঘুরিয়ে সাদা করেছিলেন বলে দাবি তাঁদের।

এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রে খবর, নোটবাতিলের সুযোগও কাজে লাগিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। মন্ত্রীর স্ত্রীর আয়কর রিটার্ন ঘেঁটে তদন্তকারীরা দেখছেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ৪৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে। অথচ সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা যায়, আদতে মাত্র ৭ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল ওই জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকার মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল আয়কর দফতরকে।

এই হিসেব ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেননি মন্ত্রী। ২০২২ সালে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে মামলা গড়ায়, সেই বছরে পুরনো হিসেব দিয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ। এখন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই টাকার উৎসের খোঁজ করতে চাইছে ইডি।