Mukul Roy: মুকুল কোন দলে? ফের উস্কে দিল মোদীকে লেখা মমতাদের চিঠি

Mukul Roy: বিজেপি এ নিয়ে মামলা করলে বিধানসভার অধ্যক্ষ চূড়ান্ত রায়দানে বলেছেন, মুকুল রায় বাইরে কী করছেন তা বিধানসভার দেখার কথা নয়। তবে কাগজে কলমে তিনি বিজেপিরই বিধায়ক।

Mukul Roy: মুকুল কোন দলে? ফের উস্কে দিল মোদীকে লেখা মমতাদের চিঠি
তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়। একুশের ফল প্রকাশের পর। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 6:39 PM

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister) চিঠি দিয়েছে তৃণমূল-সহ ৮ বিরোধী দল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে এই চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল), কে চন্দ্রশেখর রাও (বিআরএস), অরবিন্দ কেজরীবাল (আপ), ভগবন্ত মন (আপ), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), অখিলেশ যাদব (সপা), উদ্ধব ঠাকরে (শিবসেনা, ইউবিটি), শরদ পাওয়ার (এনসিপি) ও ফারুক আবদুল্লা (জেকেএনসি)। মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারের প্রতিবাদও জানানো হয়। দু’ পাতার এই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বিজেপিতে যোগ দিলে এজেন্সির তদন্ত কেন থমকে যায়? জানতে চাওয়া হয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারীদের কেন ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বোধহয় এই চিঠিতে মুকুল রায়ের নাম। কারণ, ইতিমধ্যেই মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। তার সপক্ষে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক ছবি, ভিজুয়ালও তুলে ধরেছে তারা। অথচ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সইসম্বলিত প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নারদকাণ্ডের উল্লেখ করে মুকুল রায়ের নাম লেখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নারদকাণ্ডে ইডি এবং সিবিআই স্ক্যানারে ছিলেন শুভেন্দু ও মুকুল। কিন্তু, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত থমকে যায়।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে? নাকি মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করে, তৃণমূল আরও একবার বার্তা দিতে চাইল, মুকুল রায় বিজেপিরই। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুল রায় এখন অসুস্থ। সে অর্থে সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। কখনও কখনও দু’ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা গেলেও খুব তাঁর উপস্থিতি খুব তাৎপর্যপূর্ণ কোনও মাত্রা তাতে যোগ করে না।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন মুকুল রায়। জয়ীও হন। এদিকে একুশের ফল প্রকাশের পরই সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে হাজির হন মুকুল। এরপর জল গড়িয়েছে বহুদূর। বারবার ‘অসুস্থ’ হয়েছেন তৃণমূলের এক সময়ের চাণক্য। কথায় ‘খেই হারিয়েছেন’। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে মনোনীত করা হয়েছে। পরে অবশ্য সেই পদ ছাড়েন মুকুল।

বিজেপি এ নিয়ে মামলা করলে বিধানসভার অধ্যক্ষ চূড়ান্ত রায়দানে বলেছেন, মুকুল রায় বাইরে কী করছেন তা বিধানসভার দেখার কথা নয়। তবে কাগজে কলমে তিনি বিজেপিরই বিধায়ক। যদিও বিজেপি তাঁকে কোনওভাবেই দলের মানতে নারাজ। আর এসবের মধ্যেই এবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা রাজনৈতিক নেতাদের চিঠিতে মুকুল রায়ের নাম উঠে এল।

এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোরদের বাঁচাতে চোরদের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। চুরি করলে মোদীর আমলে জেলে যেতেই হবে। বিজেপি জয়েন করলেও যেতে হবে। দু’দিন আগে দু’দিন পরে। বিজেপিতে থাকা অবস্থায় মুকুল রায়কে সিবিআই ডেকেছে। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সিবিআই একবারও মুকুল রায়কে ডাকেনি। তাহলে কি সিবিআই তৃণমূলের কথা শুনে চলছে?”

যদিও তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা গেল, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম আছে। যার বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেন লিখিত জানিয়েছেন কত কোটি টাকা নিয়েছেন, সাত খুন মাফ হয়ে গেল। আর মুকুল রায় তো এখনও অফিশিয়ালি বিজেপিরই বিধায়ক।”