WB Primary TET 2022: কতদিনে ২০২২ টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ, স্পষ্ট করল পর্ষদ
WB Primary TET 2022 Result: ১১ ডিসেম্বর টেট হয়েছিল। ২ মাসের মধ্যে টেটের ফল ঘোষণা করা হল। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার জন। পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন।
কলকাতা: শুক্রবারই টেট ২০২২-এর (WB Primary TET 2022) ফলপ্রকাশ হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ জন পাশ করেছেন। কিন্তু পাশ করলেও সেইসব উত্তীর্ণদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। প্রশ্ন একটাই, চাকরিটা কবে হবে? কারণ, ধর্মতলার ধরনাতলার চিত্রটা নিয়মিত টেলিভিশনের পর্দায় দেখছেন তাঁরা। টেট পাশ করলেও নানা জটিলতায় ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর আগে ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালের নিয়োগসংক্রান্ত একাধিক মামলা ঝুলে রয়েছে। সেইসব মামলারও নিষ্পত্তি হতে হবে। তাঁরা চাকরি পাবেন আগে। তারপর তো ২০২২-এর নিয়োগ। ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই তিন বছরের উত্তীর্ণদের নিয়ে একটাই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে নতুন করে শূন্যপদ চাওয়া হবে শিক্ষা দফতরের কাছে। দফতর শূন্যপদ দিলে সেই জায়গায় ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণরা চাকরি পাবেন। শিক্ষামহল বলছে, বোঝাই যাচ্ছে, বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।
শুধু তাই নয়, সমতা বিধানের একটি কমিটিও ইতিমধ্যে গড়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ, আগে যাঁরা টেট দিয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমিকের নম্বরের সঙ্গে ২০২২ সালে যাঁরা টেট দিয়েছেন তাঁদের নম্বরের বিস্তর ফারাক। আর এই ফারাক যে মেধার জন্য এমন নয়, পরীক্ষার ধরন, নম্বরের বিন্যাসও দায়ী। শুভময় মৈত্রের নেতৃত্বাধীন এই নম্বর সমতা বিধানের কমিটি কী সুপারিশ করে, তাও গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যে টেটে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হুগলির মৌনিসা কুণ্ডু বলেছেন, “পরে কী হবে জানি না। আমি আশা করতে পারি যেটা পুরনো হয়ে গিয়েছে তা আর হবে না। পুরনোগুলো সব ঠিক করে নতুনদের চাকরি দেবে।” একই প্রশ্ন শোনা গিয়েছে একাধিক টেট উত্তীর্ণদের মুখে। কারও কারও মনে আবার প্রশ্ন, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে অ্যাকাডেমিক স্কোর মিললেও, ইন্টারভিউয়ের নম্বরে কী হবে?
যদিও পর্ষদ সভাপতি বারবারই বলেছেন, স্বচ্ছতাই এবার নিয়োগের শেষ কথা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে দ্রুত নিয়োগের পথেই হাঁটবেন তাঁরা। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্য, “বর্তমানে একটা নিয়োগ পদ্ধতি চলছে। ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছেন যাঁরা, তাঁদের নিয়োগ চলছে। ইতিমধ্যেই ১০টা জেলার নিয়োগ শেষ। দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এরপর এ বছরের জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে ভ্যাকেন্সি চাইব। পেয়ে গেলেই নতুনদের নিয়োগের বিজ্ঞাপণও দিতে পারব।”