Road Accident: বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল… রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত লেগে, ছটফট করছে ছেলেটা
Budge Budge: বজবজ ইএসআই হাসপাতালের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা মারে বাইকটি। ছিটকে পড়েন সোমনাথ।
কলকাতা: পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নিল বজবজ ইএসআই হাসপাতাল চত্বর। সূত্রের খবর, শুক্রবার দোলের দুপুরে এক যুবক বাটানগরে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বজবজ ইএসআই হাসপাতালের (ESI Hospital) সামনে হঠাৎই তাঁর বাইকটি বাম্পারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। সে সময় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এগিয়ে আসেন। তিনিই ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও শেষ রক্ষা করা যায়নি। মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই শুরু হয় তুমুল গোলমাল। ওই যুবকের কিছু পরিচিত লোকজন এসে হাসপাতালে ঝামেলা করেন বলে অভিযোগ। এমনকী ওই তৃণমূল কাউন্সিলরকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, প্রিয়জনকে হারিয়ে ওরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। ধাক্কাধাক্কিটাও হিট অব দ্য মোমেন্টে হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বজবজ ডিপিজেএম রোডের বাসিন্দা সোমনাথ সাউ (৩২) বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে এদিন বজবজ থেকে বাটানগরে যাচ্ছিলেন। বজবজ ইএসআই হাসপাতালের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা মারে বাইকটি। ছিটকে পড়েন সোমনাথ। পাশেই মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত বেরার অফিস। তিনি ও আশেপাশের কয়েকজন রক্তভেজা সোমনাথের দেহ বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে সোমনাথ সাউকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এরইমধ্যে খবর পেয়ে সোমনাথের বন্ধু, আত্মীয়রা হাসপাতালে চলে আসেন। জানা গিয়েছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন সোমনাথ। এদিকে বাড়ির লোকজন, বন্ধুরা অভিযোগ করেন, চিকিৎসার গাফিলতিতে এই মৃত্যু। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় হাসপাতালে ভাঙচুর। ঘটনাস্থলে যায় মহেশতলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। সোমনাথের দেহটি বজবজের ইএসআই হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলর সুকান্ত বেরা বলেন, “একটা বাম্পারে বাধা পেয়ে গাড়িটা রীতিমত উড়ে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এরপর ছিটকে একদম দূরে চলে যায়। একাই ছিল ছেলেটা। যে বাইকটা মেরেছে তারাও পালিয়ে যায়। খুব খারাপভাবে আঘাত লেগেছিল। আমরাই বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে মাথা থেকে পুরো চাপ চাপ রক্ত বেরিয়ে এসেছিল। মনে হচ্ছিল বড় দুর্ঘটনাই ঘটেছে।”
সুকান্ত বেরার কথায়, এরপরই সোমনাথের কিছু পরিচিত হাসপাতালে এসে ঝামেলা শুরু করেন। চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সুকান্তবাবুর কথায়, “আসলে ওরা তো অনেক পরে এসেছে। তাই পরিস্থিতিটা বুঝতে পারেনি। আর স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণায় এত কিছু খেয়ালও রাখা যায় না। তবে পুলিশ এসে মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হবে।”
আরও পড়ুন: Dubrajpur Case: পরণে শুধু প্যান্টটুকুই, দু’টো শরীরে তখনও লেগে রং! উৎসবের দিনে এও ছিল কপালে?
আরও পড়ুন: Swasthasathi Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ‘না’! স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিল ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল