KMC Worker Died: গরমে পথেঘাটে কাজ, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীর
KMC: স্বপন ঘোষের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এখানে কাজ করছিলেন স্বপনবাবু। অথচ সম বেতনের কোনও পরিকল্পনাই নেওয়া হয়নি।
কলকাতা: গোটা রাজ্যে দাবদাহ। প্রবল গরমে কলকাতায় মৃত্যু হল পুরনিগমের এক অস্থায়ী কর্মীর। কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী স্বপন ঘোষ। গত বুধবার বোরো ১১ দফতর থেকে কাজে বেরোন তিনি। সেই সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান বলে জানান তাঁর সহকর্মীরা। স্বপন ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন স্বপন ঘোষ। তাঁর সহকর্মীদের অভিযোগ, এই ঘটনার পর পুরনিগম থেকে কোনও খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। ওই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ পর্যন্ত করেননি। শুক্রবার মৃতের পরিজনেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাতে যান।
স্বপন ঘোষের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এখানে কাজ করছিলেন স্বপনবাবু। অথচ সম বেতনের কোনও পরিকল্পনাই নেওয়া হয়নি। একই অভিযোগ, বহু ‘ফিল্ড ওয়ার্কার’-এর। উল্লেখ্য, কলকাতাকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে মাঠে নেমে কাজ করেন তাঁরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করা, তাদের প্রচারের মাধ্যমে সচেতন করার কাজ করেন এই ফিল্ড ওয়ার্কাররা। অথচ তাঁদের জীবনের কোনও স্থায়িত্ব নেই বলেই এদিন সরব হন কর্মীরা। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত তাঁদের বেতন বাড়ানো তো দূর, প্রকট বেতন বৈষম্য। একই বিভাগে চাকরি করেও এক একজনের বেতন অবাক করার মতো। এদিন দাবি ওঠে, স্বপন ঘোষের পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও এদিন সরব হন তাঁরা।
যদিও এ প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি এই ঘটনা সম্পর্কে জানি না। কিন্তু আমি সবসময় বলেছি, রোদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে কাজ করতে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমি দেখে নেব। তবে আমাদের এমার্জেন্সি ডিউটি। পথেঘাটে নেমেই কাজ করতে হয়। তবু সকলের কাছে অনুরোধ সাবধানে কাজ করুন, নিজেদের সুরক্ষিত রেখেই কাজ করুন।”