Baranagar: ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুতে উত্তপ্ত বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতাল, পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়ুয়ারা

North 24 Parganas: হস্টেল রুম থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয় সোমবার রাতে।

Baranagar: ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুতে উত্তপ্ত বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতাল, পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পড়ুয়ারা
অবস্থানে পড়ুয়ারা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 11:39 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। বরানগর (Baranagar) বনহুগলিতে প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে থাকতেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিং। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হস্টেল থেকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। আর সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই প্রিয়রঞ্জন মারা যান বলে তাঁর বন্ধুদের দাবি। এরপরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ছাত্রদের অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও এমার্জেন্সির ব্যবস্থা নেই, নেই ন্যূনতম পরিষেবাও। সে কারণেই সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই হারাতে হয় তাঁদের বন্ধুকে। মঙ্গলবার হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে পরিষেবা কার্যত অচল করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা। বরানগর থানার পুলিশ খবর পেয়েও দেরিতে আসে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।

বিহারের গয়ার বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের ডাক্তারির ছাত্র। তাঁর এক বন্ধুর কথায়, “সোমবার রাত ১১টা ৪০ নাগাদ প্রিয়রঞ্জনকে ওর এক রুমমেট ফোন করে। কিন্তু ও সেই ফোন ধরেনি। প্রায় ১২টা অবধি ফোন করে যান রুমমেট। এরপরই হস্টেল রুমের দরজায় গিয়ে টোকা মারেন। বারবার ধাক্কা দিলেও কেউ খোলেনি। এরপরই ঘুরে গিয়ে জানলা দিয়ে দেখে ঘর অন্ধকার। ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে দেখে কিছু একটা ঝুলছে। এরপরই সকলে দরজা ভেঙে ১২টা ১০ নাগাদ উদ্ধার করা হয় প্রিয়রঞ্জনকে। তখনও প্রাণ ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে অক্সিজেন পর্যন্ত ছিল না। হাসপাতালে এমন অবস্থা হতে পারে? অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পর্যন্ত নেই। আমি পাঁচ বছর ধরে এখানকার ছাত্র। আমরা বহুবার বলেছি।”

এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বরানগরের প্রতিবন্ধী হাসপাতালচত্বর। পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবস্থানে বসেন পড়ুয়ারা। হাসপাতালের ডিরেক্টর পি পি মোহান্তি বলেন, “এই ঘটনার তদন্ত করব। এটা সত্যি আমাদের হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স নেই। তবে পরিষেবা যথোপযুক্ত রয়েছে। আমি স্বীকার করছি বড় ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি চাই হাসপাতালের এই ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। সমাধান আমি বের করব। তবে তদন্ত করে দেখব কেন এমন ঘটনা ঘটল।”