
কলকাতা: বীরভূমের বাঘ। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর কেষ্ট-স্তুতি করতে গিয়ে একথা বলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বীরভূমের সেই কেষ্টর পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ দেওয়া একটি অডিয়ো ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। শাসকদল তৃণমূল অনুব্রতর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। আর কেষ্টকে বীরভূমের বাঘ বলা ফিরহাদ হাকিমের মুখেও কড়া বার্তা শোনা গেল। এমনকি, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে ‘পুঁচকে পাঁচকা জেলার নেতা’-ও বললেন তিনি।
অনুব্রতর ভাইরাল অডিয়ো নিয়ে ফিরহাদ এদিন বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও উচ্ছৃঙ্খলতা সহ্য করেন না। যে অন্যায় করেছে, তাকে সাবধান করে দেওয়া হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নেই।”
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আগেও তো অনুব্রতর বিরুদ্ধে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার জবাব দিতে গিয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে বিজেপির এক মন্ত্রীর মন্তব্য টেনে আনেন তিনি। তারপরই ফিরহাদ বলেন, “সারাদিন ধরে যখন বিজেপির নেতারা একজন মহিলা সেনা অফিসারকে জঙ্গির বোন বলেন, তখন সংবাদমাধ্যম চুপ থাকে। আর যখন একটা উচকে পাঁচকা জেলার কেউ বলল, সেটা নিয়ে হাইলাইট হয়।”
অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে তৃণমূল কড়া অবস্থান নেওয়ার পর অনুব্রত জানিয়েছেন, তিনি দুঃখিত। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন ওই ভিডিয়ো বিজেপির কাছে গেল কীভাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, “আমি অনুব্রত মণ্ডলের মুখপাত্র নই। আমি এটা জানি না। তবে আমাদের নেত্রী কোনওরকম অন্যায় সহ্য করেন না। কোনওরকম অন্যায় করতে দেন না। এবারে আমরা খুবই কড়া।” তবে হঠাৎ কেন বীরভূমের কেষ্টকে ‘পুঁচকে পাঁচকা’ নেতা বললেন ফিরহাদ, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।