TV9 Opinion Poll: রাজ আবেগে শান দিয়ে BJP-র টিকিটে বাজিমাত করবেন রানি মা? নাকি বিতর্ক ঝেড়ে ফের লোকসভায় পা মহুয়ার?

TV9 Opinion Poll: শেষ লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর আসনে বিজেপির কল্যাণ চৌবে ৭৩ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। লোকসভা ভোটের ময়দানে এই মার্জিন বিশাল বড় মাপের কোনও মার্জিন নয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2024 | 12:10 AM

কলকাতা: ২০০৯ সাল থেকে এই আসন তৃণমূলের দখলে। বাম আমলে সিপিএমের থেকে একবার এই আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন পদ্ম শিবির। জিতেছিলেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। কথা হচ্ছে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে নিয়ে। এই কেন্দ্রে কিছুদিন আগে পর্যন্তও সাংসদ ছিলেন মহুয়া মিত্র। প্রসঙ্গত, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল এই মহুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। খারিজ হয়ে যায় মহুয়ার সাংসদ পদ। বিতর্কের মধ্যেই এবারও তৃণমূলের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে লড়ছেন মহুয়া। ঝড় তুলছেন প্রচারে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরে বড় চমক দিয়েছে বিজেপিও। লড়ছেন কৃষ্ণনগরের রানি মা অমৃতা রায়। 

কী বলছে জনমত সমীক্ষা? 

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪.৯৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৩৬ শতাংশ ভোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কী হতে চলেছে? কী বলছে টিভি৯, পোলস্ট্রাট ও পিপলস ইনসাইটের জনমত সমীক্ষা? সমীক্ষা বলছে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে বিজেপি পেতে পারে ৪০.১৩ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেতে পারে ৩৩.৫৪ শতাংশ ভোট। মনস্থির করেননি ১০.৪০ শতাংশ। 

প্রসঙ্গত, এই ওপিনয়ন পোল যখন করা হয়েছে তখন বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। ফলে অনেক সমীকরণই আগামীতে বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার, ওপিনিয়ন পোল কোনও চূড়ান্ত ফলাফল নয়। জনমতের একটি আভাস পাওয়ার চেষ্টা করা হয় এই ওপিনিয়ন পোলগুলির মাধ্যমে। অতীতে যেমন কখনও কখনও জনমত সমীক্ষা হুবহু মিলে যেতে দেখা গিয়েছে, আবার অনেক সময় জনমত সমীক্ষা ভুলও প্রমাণিত হয়েছে।

কী বলছে সমীকরণ? 

শেষ লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর আসনে বিজেপির কল্যাণ চৌবে ৭৩ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। লোকসভা ভোটের ময়দানে এই মার্জিন বিশাল বড় মাপের কোনও মার্জিন নয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। পরিসংখ্যান বলছে, গতবার মহুয়াকে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি লিড দিয়েছিল তার মধ্যে নাকাশিপাড়া, পলাশিপাড়া, চাপড়া, কালিগঞ্জের মতো এলাকা। এই সব এলাকাই আবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। পিছিয়ে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তর দক্ষিণ ও তেহট্টে। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। এই তাপসের নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে। সিবিআই তল্লাশি চলেছিল বাড়িতে। একইসঙ্গে পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। দিন কাটাচ্ছেন জেলেই। 

এদিকে গোটা কৃষ্ণনগর-সহ নদিয়াতেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামের জয়গান আজও শোনা যায়। কষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি রাজ্যজোড়া। পুজোর সঙ্গে আজও জড়িয়ে রাজ পরিবারের বহু স্মৃতি। সেই ঐতিহ্যকে পাথেয় করে আজও চলে পুজোপাঠ। সেখানে অমৃতা পায়ের মতো রাজমাতার বিজেপি প্রার্থী হওয়া যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবার শেষ হাসি কে হাসবে তা জানা যাবে ৪ জুন ফল ঘোষণার দিনই।