কলকাতা: বাংলায় পূর্বতন বামফ্রন্টের ছোট-বড়-মেজ সমস্ত দলেরই নৌকাডুবি অব্যাহত। ব্যতিক্রম শুধু তিনি। বাংলা পেরিয়ে উত্তর প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ পেরিয়ে দিল্লি, সর্বত্রই কিরণদ্যুতি ছড়াচ্ছেন তিনি। লোকসভা ভোটে ভাল রেজাল্টের পর খুশির জোয়ার দলের অন্দরে। উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতের এই তিন নম্বর বড় দল। সেই পার্টিরই গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুখ কিরণময় নন্দ। সেই কিরণময় বলছেন, বাংলায় ইন্ডিয়া জোট হলে বিজেপি একটি আসনও পেত না। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে আমরা উদারতা দেখিয়েছি। জোট সঙ্গীদের আসন ছেড়েছি। বাংলায় সেরকম কিছু হয় নি। তবে সমাজবাদী পার্টির গুরুত্ব যে সাম্প্রতিককালে বেশ খানিকটা কমেছিল তা মানতে নারাজ তিনি। তাঁর দাবি, আমাদের পার্টি সামাজবাদকে ভারতের মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী বুঝে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। উত্তর প্রদেশের আমাদের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ।
অন্যদিকে বাংলা সহ গোটা দেশে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাওয়ার পিছনে দলের বামেদের একাধিক নীতিকেই দুষছেন তিনি। স্পষ্ট বলছেন, “ইউপিএ ছেড়ে আসাই সিপিএম এর কাল হয়েছে। সেই ভুলের মাশুল গুনছে সিপিএম।” তৃণমূলকে বিজেমূল বলাও সিপিএমের ভুল হয়েছে বলে মত তাঁর। তাঁর স্পষ্ট দাবি, “এই মূল্যায়নের জন্য ওরা নির্বাচনে পিছিয়ে গিয়েছে। আমরা ইন্ডিয়া জোট করেছি। সেখানে তৃণমূল একটা বড় অংশ। আবার যাঁরা সেটিংয়ের কথা বলছেন তাঁরাও ওই জোটের মধ্যে রয়েছেন। একসঙ্গে লড়াইয়ের কর্মসূচি ঠিক হচ্ছে। সেখানে আবার কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনও অ্যাজেন্ডা নিচ্ছেন না। সেখানে কিন্তু সকলের একটাই উদ্দেশ্য বিজেপিকে হারানো। সিপিএম এর উচিত তৃণমূলের সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে আলোচনা করা। নাহলে ইন্ডিয়া জোটে সামিল থাকা সিপিএমের উচিত নয়।”
একইসঙ্গে নীতিশের জেডিইউ বিজেপির সঙ্গে যাওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে তাঁর। কতদিন নীতিশ বিজেপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁর। বলেন, “নীতিশ কুমার সোশ্যালিস্ট। উনি কতদিন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মেলাতে পারবেন প্রশ্ন আছে। টিডিপিও আসলে আমাদেরই ঘরানার। ওরা আদৌও বেশিদিন মোদীর সঙ্গে থাকতে পারবে না।”