TMC MP: ‘শুধু গো-মাংস কেন, গোটা দেশে আমিষই নিষিদ্ধ করা হোক’, দাবি তৃণমূল সাংসদের
TMC MP: তীব্র আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কটাক্ষের সুরেই বলেন, “উনি একজন বহিরাগত। সে তাঁর বিহার নিয়ে বলুক। সারা ভারতবর্ষ নিয়ে তাঁর বলার অধিকার নেই। কে কী খাবে, আর কী পরবে এটা শত্রুঘ্ন সিনহা ঠিক করবে?”

কলকাতা: শুধু গো-মাংস কেন, গোটা দেশে আমিষই নিষিদ্ধ করা হোক। দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। “উত্তর ভারতে গো-মাংস নিষিদ্ধ করেছেন উত্তর-পূর্বে নয় কেন? নিষিদ্ধ করলে সব জায়গায় করা হোক।” মন্তব্য করলেন শত্রুঘ্ন। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা। শত্রুঘ্নর সাফ কথা, আপনি কিছু জায়গায় বিফ ব্যান করেছেন। যা ঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু, বিফ কেন নন-ভেজই বন্ধ করে দেওয়ার দরকার রয়েছে। এটা আমার মনে হয়। এরপরই খোঁচা দিয়ে বলেন, “নর্থ-ইস্টে খেলে ইয়াম্মি, আর নর্থ ইন্ডিয়াতে খেলে মাম্মি! এটা তো চলতে পারে না। বন্ধ করলে তো সব জায়গায় করতে হবে।” তার এ মন্তব্য কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
তীব্র আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কটাক্ষের সুরেই বলেন, “উনি একজন বহিরাগত। সে তাঁর বিহার নিয়ে বলুক। সারা ভারতবর্ষ নিয়ে তাঁর বলার অধিকার নেই। কে কী খাবে, আর কী পরবে এটা শত্রুঘ্ন সিনহা ঠিক করবে?” এক সময় প্রকাশ্যে গোমাংস খেতে দেখা গিয়েছিল সিপিএম নেতা তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সেই বিকাশও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শত্রুঘ্নর কথায়। টিভি৯ বাংলায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এটা ঠিক করার অধিকার কারও নেই। তৃণমূল সাংসদ হোক বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেউ এটা ঠিক করতে পারে না। মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই ঝোঁকটাকে আরএসএস লালন-পালন করছে কখনও তৃণমূলের মাধ্যমে, কখনও বিজেপির মাধ্যমে।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার খোঁচা দিয়ে বলছেন, “এরা বিজেপির সাংসদ ছিল। পুরনো অভ্যাস ভুলতে পারছে না। কিন্তু, এই দেশ বহুত্ববাদের দেশ। যার যেটা পছন্দ হবে সেটাই খাবে।” প্রসঙ্গত, এই বিতর্ক নতুন নয়। বারবার এই ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে বিজেপির। এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছিলেন, “মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না? কে কী খাবে সেটাও ঠিক করে দেবে, কে কী পরবে সেটাও ঠিক করে দেবে! সিলেবাসে যা ইচ্ছা তাই ঢোকাবে। মানুষের মাথাটা ডিস্টার্ব করার এগুলো পরিকল্পিত পরিকল্পনা।” এখন তাঁরই দলের সাংসদের মুখে এ কথায় ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের অনেকেই।





