CM Mamata Banerjee: ‘নর কঙ্কাল নেতা’, খোঁচা মমতার, তা শুনেই সুশান্ত বললেন…

CM Mamata Banerjee:'নরকঙ্কালের মালাদের কত জনকে গ্রেফতার করেছি? একজন নরকঙ্কালের নেতা তো আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছিল।' সুশান্তের নাম না নিয়ে বামেদের খোঁচা মমতার।

CM Mamata Banerjee: 'নর কঙ্কাল নেতা', খোঁচা মমতার, তা শুনেই সুশান্ত বললেন...
ছবি - ফের মমতার নিশানায় বামেরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2022 | 5:54 PM

কলকাতা : ২০১১ সালে তৃণমূলের(Trinamool-Congress) ক্ষমতা দখলের আগে বাংলার যে সমস্ত ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল বাম শাসনের ভীত। তারমধ্যে বরাবরই নজর কেড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার কঙ্কাল কাণ্ড। যাতে নাম জড়ায় দাপুটে বাম নেতা তথা বাম সরকারের পশ্চিমাঞ্চলের নেতা সুশান্ত ঘোষের (CPIM leader Sushanta Ghosh)। মমতা মসনদে বসতেই জেল হয় তাঁর। এবার ফের বুধবারে মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। একযোগে তোপ দাগলেন বিজেপি-সিপিএমকে(BJP)। রাজ্য়ে আইন-শৃঙ্খলা ও দোষীদের শাস্তি প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে নবান্ন থেকে মমতা বলেন, ‘বাংলায় গণতন্ত্র বেশি। এখানে অভিযোগ অনেক বেশি আসে। সত্য ঘটনা হলে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কোনও পার্টির রঙ দেখি না। আমি সব ক্ষেত্রেই অ্যাকশন নিয়েছি। বরং সিপিএমের ক্ষেত্রে, বিজেপির ক্ষেত্রে অনেক কম পদক্ষেপ করা হয়েছে। সিপিএম এত অত্যাচার করার পরেও বলুন তো কটা লোককে আমরা গ্রেফতার করেছি? নরকঙ্কালের মালাদের কত জনকে গ্রেফতার করেছি? সে তো একজন নরকঙ্কালের নেতা আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছিল। আসলে আমরা প্রতিশোধমূলক আচরণ করি না’।

মমতার এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, এখনও পশ্চিম মেদিনীপুরের নির্বাচনী ময়দানে গরবেতার বেনাচাপড়ার নরকঙ্কাল কাণ্ড বড় ইস্যু। প্রতিবারই এই ইস্যুতে নতুন করে সরগরম হয় গরবেতার মাটি। এদিকে মমতার মন্তব্য প্রসঙ্গে টিভি-৯ বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় পাল্টা সুর চড়ান সুশান্ত। তিনি বলেন, ‘ভদ্রতা বোধ থাকলে এই ধরনের মিথ্যা কথা বলতে পারেন না কেউ। মিথ্যা কথা বলতেই উনি অভ্যস্ত, তাই সত্যি ঘটনা বলতে ভুলে গিয়েছেন। বাংলার মানুষও এটা বুঝে গিয়েছেন। রাজ্য পুলিশ-সিআইডি কী করেছিল সবাই দেখেছে। ওনার একথার উত্তর দেওয়া মানে নিজেকে ছোট করা’।

ইতিহাস বলছে, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার বেনাচাপড়ায় ৯ তৃণমূল কর্মী নিখোঁজে হয়ে যান বলে শোনা যায়। কেন, কীভাবে তাঁরা আচমকা একেবারে উধাও হয়ে গেলেন সেই বিষয়ে শুরু হয় বিস্তর চাপানউতর। অভিযোগ ওঠে, রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন এই ৯ জন। এরপরেই ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শ্যামল আচার্য তাঁর বাবা অজয় আচার্য-সহ ৯ জনের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যা নিয়ে ফের নতুন করে হিন্দোল ওঠে জেলার রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি পুরোদমে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বেনাচাপড়ায় ২০১১ সালের ৫ জুন উদ্ধার হয় একাধিক নরকঙ্কাল। নাম জড়়ায় সুশান্ত ঘোষের। ওই বছরই ১১ অগস্ট গ্রেফতার তিনি। তবে পরের বছর জামিন মিললেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঢোকায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সুশান্ত।

আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় বিদ্যুতের খরচ বাড়ল অনেকটা, জেনে নিন ইউনিট প্রতি কত দাম?