পদত্যাগ করতে চান যাদবপুরের উপাচার্য, ঘনিষ্ঠমহলে ইঙ্গিত সুরঞ্জন দাসের

বুধবার রাতেই অধ্যাপকদের পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে চিঠি দেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও দুই সহ উপাচার্য। তিনি স্পষ্টই বললেন, ‘সদিচ্ছা নিয়েই ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেছে আমার সহকর্মীরা। কিন্তু যা হয়েছে তা বিশ্বাসভঙ্গের সামিল। এই পরিস্থিতিতে আমি এবং দুজন সহ উপাচার্যের পক্ষে অফিস চালানো সম্ভব নয়’।

পদত্যাগ করতে চান যাদবপুরের উপাচার্য, ঘনিষ্ঠমহলে ইঙ্গিত সুরঞ্জন দাসের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2020 | 1:23 PM

যাদবপুর : বার বার ছাত্রদের ঘেরাও অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়েই পদ ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University)  উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বুধবার রাতে সহকর্মী ও অধ্যাপকদের নিজের পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সুরঞ্জনবাবু। ছাত্রদের বারবার এই অবস্থান বিক্ষোভে ক্লান্ত বলে জানান তিনি। দুই সহ-উপাচার্যও একই পন্থা অবলম্বন করবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন :  ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে ‘ছেলে ডাকার’ অভিযোগ, ঘেরাও-বিক্ষোভ জেইউ-তে

বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্র আন্দোলনে জেরবার হয়েছে ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়(Jadavpur University)। এ বার বিক্ষোভ করার কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ব্যবস্থাপনার (জুমস) দায়িত্ব বাইরের সংস্থাকে দেওয়া, ভর্তির ত্রুটি-সহ একাধিক ইস্যু। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বাইরের সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ায় পরীক্ষা ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচুর ভুল ভ্রান্তি হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ আসার পরে জুমসের পুনর্বিন্যাস নিয়ে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন : তিন দিন ধরে দাঁতের যন্ত্রণা, উদাসীন জেল কর্তৃপক্ষ, আদালতে সরব খালিদ

বুধবার ওই কমিটির বৈঠক চলে প্রায় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। সকাল থেকে অরবিন্দ ভবনের সামনে জমায়েত ছিল ছাত্রদের। রাত সাড়ে আটটায় বৈঠক শেষ হওয়ার পর পড়ুয়াদের দাবি দাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার দাবি ওঠে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনওমতেই ভিতরে বৈঠক করতে রাজি হয়নি। এই প্রসঙ্গে সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঠায় দাঁড়িয়ে আছি বাইরে। ছাত্ররা চায় ভিতরে গিয়ে কথা বলতে কিন্তু আমরা রাজি নই। কারণ ভিতরে গেলেই সারা রাত থাকতে হবে আমরা জানি।’

আরও পড়ুন : মমতা লড়ুক, আমরাও লড়ব, বিজেপি বিরোধিতার প্রতিযোগিতা হোক: দীপঙ্কর ভট্টাচার্য

গত সপ্তাহে এই একই দাবিতে মাঝরাত পর্যন্ত ঘেরাও থাকতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। তারপরই অধ্যাপক সমিতি মুখোমুখি বৈঠক না করার জন্য উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি দিয়ে জানায় সশরীরে বৈঠকে অংশ নেবেন না কেউ। কিন্তু বুধবার কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরই ঘটনার মোড় নেয়। কলা বিভাগের সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করা হয়, ‘আবারও ছাত্রদের ঘেরাও কর্মসূচিতে আমরা আটকে পড়েছি।’ যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি তারা ঘেরাও করেনি বরং কথা বলতে চেয়েছে। এই টানাপোড়েনের জেরে যথেষ্ট উত্তাপ ছড়ায় ক্যাম্পাস চত্বরে।

আরও পড়ুন : এক্সক্লুসিভ ঐশী: আমিই সরকার, আমিই দশ, আমিই দেশ, ইজ ইক্যুয়াল টু মোদীজী

বুধবার রাতেই অধ্যাপকদের পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে চিঠি দেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও দুই সহ উপাচার্য। তিনি স্পষ্টই বললেন, ‘সদিচ্ছা নিয়েই ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করেছে আমার সহকর্মীরা। কিন্তু যা হয়েছে তা বিশ্বাসভঙ্গের সামিল। এই পরিস্থিতিতে আমি এবং দুজন সহ উপাচার্যের পক্ষে অফিস চালানো সম্ভব নয়’।

আরও পড়ুন :  ভোকাল ফর লোকালের প্রকৃষ্ট উদাহরণ পৌষমেলা, বিশ্বভারতীর শতবর্ষে বললেন মোদী

বৃহস্পতিবার সকালে, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের তরফে ডাকা হয় জরুরি বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য , অধ্যাপক ও আন্দোলকারী পড়ুয়ারা। দুপুর ২টোয় ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হবে বৈঠক। বৈঠকের পরেই উপাচার্য পদত্যাগ করবেন কি না তা স্পষ্ট হবে।