কলকাতা: বাংলায় আর ‘বহিরাগত’ রইলেন না প্রশান্ত কিশোর। পাকাপাকিভাবে এ বার এ রাজ্যেরই বাসিন্দা হতে চলেছেন তৃণমূলের ভোটকুশলী। কারণ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রেই ভোটার তালিকায় নাম উঠে গিয়েছে পিকে-র। অর্থাৎ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচনে ভোট দিতে দেখা যাবে তাঁকে। বিজেপির দাবি অন্তত এমনটাই। প্রশান্ত কিশোরের ভোটকেন্দ্র হতে চলেছে ২২২ নম্বর সেন্ট হেলেন স্কুল। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। ইতিমধ্যেই আমাদের হাতে সেই ভোটার লিস্ট এসে পৌঁছে গিয়েছে যেখানে প্রশান্ত কিশোরের নাম সংযোজন হয়েছে।
ভবানীপুরের ভোটার তালিকায় পিকে
এই নিয়ে কটাক্ষের পথে হাঁটা শুরু করেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভোটার তালিকার ছবি সহ একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “আর বহিরাগত নয়। এ বার একদম ঘরের ছেলে।”
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এই লড়ার তৃণমূল নেত্রীর জন্য প্রেস্টিজ ফাইট। কেননা, মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখার জন্য এই লড়াই লড়ছেন তিনি। পিকে মুখে অবশ্য বলে দিয়েছেন যে আইপ্যাকের সঙ্গে তাঁর কোনও ধরনের সম্পর্ক আর নেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্ক যে সময়ের সঙ্গে আরও মজবুত হচ্ছে, আজকের পর সেই নিয়ে আর কোনও সংশয়ের কোনও জায়গাই কার্যত রইল না।
ভোটার লিস্টে যে এপিক নম্বর থাকে, তা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সার্চ করলেই সেই ভোটারের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভোটার লিস্টে থাকা প্রশান্ত কিশোরের এপিক নম্বর দিয়ে যখন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সার্চ করা হয়েছে, তখন প্রশান্ত কিশোর নাম এবং তাঁর পোলিং বুথ পাওয়া গিয়েছে। যদিও কমিশনের ওয়েবসাইটে ভোটারের ছবি দেখা যায় না। তাই তিনিই ভোটকুশলী এবং জেডিইউ-র প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর কি না, সেই নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে বিজেপি দাবি করছে, এই প্রশান্ত কিশোরই সেই প্রশান্ত কিশোর। যিনি একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রেকর্ড জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছেন।
সূত্র জানাচ্ছে, অতি সম্প্রতিই তিনি ভবানীপুরের ভোটার হয়েছেন। বিগত কয়েক মাস ধরে নিজের বেশিরভাগ সময়টাই কলকাতায় কাটাচ্ছেন পিকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর হোক, বা কালীঘাটের অন্দরমহল। পিকে-র বিচরণ এখন সর্বত্রই অবাধ। বিজেপির কেউ কেউ আবার মসকরা করে বলছেন, হয়তো পিকে কলকাতাকে ভালবেসে ফেলেছেন, তাই আর ছেড়ে যেতে চাইছেন না।
আরও পড়ুন: Narendra Modi at UN: চিনের সম্প্রসারণ নীতিকে সজোরে খোঁচা, রাষ্ট্রপুঞ্জে সংস্কারের দাবি মোদীর মুখে