AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Acne: মাথার ত্বকেও হতে পারে ব্রণ! কী করলে মিলবে মুক্তি?

Pimples: এগুলো অস্বস্তি, চুলকানি এমনকি ব্যথারও কারণ হতে পারে। মাথায় ব্রণ হলে চুল আঁচড়াতে কষ্ট হয়, কখনও পুঁজ বের হয় আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেও পারে। কেন মাথার চুলের মধ্যে ব্রণ হয়?

Acne: মাথার ত্বকেও হতে পারে ব্রণ! কী করলে মিলবে মুক্তি?
| Updated on: Aug 16, 2025 | 4:07 PM
Share

অনেকের ধারণা, ব্রণ শুধু মুখ বা শরীরের অন্য অংশেই হয়। কিন্তু অনেক সময় মাথার ত্বকেও (scalp) ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ব্রণ দেখা দেয়। এগুলো অস্বস্তি, চুলকানি এমনকি ব্যথারও কারণ হতে পারে। মাথায় ব্রণ হলে চুল আঁচড়াতে কষ্ট হয়, কখনও পুঁজ বের হয় আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেও পারে। কেন মাথার চুলের মধ্যে ব্রণ হয়?

১. অতিরিক্ত তেল ও ময়লা জমা – মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল (sebum) নিঃসৃত হলে রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জমে ব্রণ হয়।

২. চুলের যত্নে ব্যবহৃত প্রসাধনী – ভারী হেয়ার অয়েল, জেল বা কন্ডিশনার অনেক সময় রন্ধ্রে তেল–চর্বি আটকে দিয়ে ব্রণের সৃষ্টি করে।

৩. অতিরিক্ত ঘাম – গরমে বা ব্যায়ামের পর মাথায় ঘাম জমে গেলে তা পরিষ্কার না করলে ব্রণ হতে পারে।

৪. অপরিচ্ছন্নতা – নিয়মিত চুল না ধুলে ধুলো, ময়লা ও মৃত কোষ জমে গিয়ে ফুসকুড়ির সমস্যা বাড়ায়।

৫. অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা – অনেকের ক্ষেত্রে শ্যাম্পু বা প্রসাধনীর রাসায়নিক উপাদান মাথায় ব্রণ তুলতে পারে।

৬. খাদ্যাভ্যাস ও হরমোনের সমস্যা – তেল–ঝাল খাবার বেশি খাওয়া, হরমোনের ওঠানামা বা মানসিক চাপও মাথার ব্রণ বাড়াতে পারে।

মাথার ব্রণ হলে কী করবেন?

১. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন – নিয়মিত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার রাখুন। বেশি ঘামলে বা ধুলোবালিতে বেরোলে বাড়ি ফিরে অবশ্যই চুল ধুয়ে নিন।

২. হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন – সালফেট-মুক্ত ও অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

৩. চুলের প্রসাধনী কম ব্যবহার করুন – ভারী তেল, ওয়াক্স, জেল বা স্প্রে ব্যবহার করলে রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। তাই এসব যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৪. খোঁচাখুঁচি করবেন না – ব্রণ খোঁটালে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে এবং দাগও থেকে যায়।

৫. চুল শুকনো রাখুন – ভেজা বা ঘামে ভেজা চুল বেশি সময় বাঁধা অবস্থায় রাখবেন না। এতে জীবাণু বেড়ে সমস্যা বাড়ায়।

৬. খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনুন – প্রচুর পানি খান, শাকসবজি ও ফল খান। অতিরিক্ত তেল–ঝাল, ভাজাপোড়া খাবার কমান।

৭. মানসিক চাপ কমান – স্ট্রেসের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ব্রণ বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি জরুরি।

মাথায় ব্রণর পরিমাণ বেড়ে গেলে দীর্ঘদিন না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। পুঁজ, ব্যথা বা রক্তপাত দেখা দিলে সতর্ক হন। ব্রণের কারণে মাথার ত্বক ঘন ঘন চুলকায় বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসক সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক বা বিশেষ মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করেন।