গরমে রূপচর্চায় সেরার সেরা অ্যালোভেরা আইস কিউব, জানুন কীভাবে বানাবেন
দেখা দেয় র্যাশের সমস্যা। আবার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তখন আরও তেলতেলে ভাব বাড়ে। তার সঙ্গে ব্রণর সমস্যা জ্বালাতন করে। ত্বক তৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক, এই গরমে কাজে আসতে পারে একমাত্র অ্যালোভেরা।

যে হারে গরম পড়েছে, তাতে ত্বকেরও দফারফা অবস্থা হয়ে আছে। গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা যেমন জরুরি, তেমনই ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখতে হয়। গরমে ত্বকের উপর জ্বালাভাব বাড়ে। দেখা দেয় র্যাশের সমস্যা। আবার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তখন আরও তেলতেলে ভাব বাড়ে। তার সঙ্গে ব্রণর সমস্যা জ্বালাতন করে। ত্বক তৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক, এই গরমে কাজে আসতে পারে একমাত্র অ্যালোভেরা।
সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয়: গ্রীষ্মকালের খুব কমন সমস্যা এই সানবার্ন। ত্বকের যে অংশ রোদে পুড়ে যাবে, তার উপর অ্যালোভেরা জেল লাগান। অ্যালোভেরা ত্বকের উপর জ্বালাভাব কমাতে সহায়ক। ত্বকের প্রদাহ কমায়।
ত্বককে পুষ্টি জোগায়: অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের সমস্যা কমাতে সহায়ক। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি গরমে ত্বকে উজ্জ্বলতা এনে দেবে।
ময়েশ্চারাইজার: গরম পড়লে অনেকেই ময়েশ্চারাইজার মাখা বন্ধ করে দেন। কিন্তু ত্বক যতই তৈলাক্ত হোক না কেন, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা দরকার। এক্ষেত্রে আপনি ত্বকের উপর অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন। এটি শুষ্কভাবকে প্রতিরোধ করবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
অ্যালোভেরা টোনার: গরমে মুখে তেলেতেল ভাব বাড়ার পাশাপাশি ঘামও হয়। এই অবস্থায় মুখে স্প্রে করতে পারেন অ্যালোভেরার তৈরি টোনার বা ফেস মিস্ট। সমপরিমাণ জল ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। যখনই ত্বকে অস্বস্তি হবে এই ফেস মিস্ট মুখে স্প্রে করে নিতে পারেন। তাৎক্ষণিক সতেজতা পাবেন ত্বকে।
আইস কিউব: গরমে ত্বকের উপর আইস কিউব ঘষলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে। এটি ব্রণর লালচে ভাব, ফোলাভাব ও প্রদাহ কমায়। আইস কিউব ঘষলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। পাশাপাশি ওপেন পোরসের সমস্যাও দূর করে। তাজা অ্যালোভেরা জেল ফ্রিজে রেখে আইস কিউব বানিয়ে নিন। এটি মুখে ঘষলে ত্বকে সতেজতা পাবেন।
