চুলের যত্ন নেওয়ার পরও দেখা যায় ডগা ফেটে গিয়েছে। এই সমস্যায় কমবেশি সব মেয়েরাই ভোগে। দু’মুখো চুলের সমস্যার পিছনে নানা কারণ দায়ী থাকে। সাধারণত শুষ্কতার অভাবে স্প্লিটএন্ডের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বার বার চুল কেটে ফেলা কোনও সমাধান নয়। তাছাড়া চুল কেটে ফেলার কয়েক পর আবার এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই ডগা ফাটার সমস্যাকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে হবে। এমন উপায় গ্রহণ করতে হবে, তা ডগা ফাটার সমস্যাকে প্রতিরোধ করবে।
নারকেল তেল ব্যবহার করুন
চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে নারকেল তেলের চেয়ে ভাল বিকল্প কিছু হয় না। নারকেল তেল হল এমন একটি উপাদান, যা খুশকি, চুল পড়া, ডগা ফাটা সব ধরনের সমস্যাকে দূর করে দেয়। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত নারকেল তেল মেখে নিন। হালকা হাতে মালিশও করতে পারেন। এবার চুলে একটা শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। তারপর শ্যাম্পু করে নেবেন। ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকনো করবেন না। এতে চুল রুক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মধুর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
চুলের সমস্যায় কিন্তু মধুও দারুণ উপযোগী। সপ্তাহে একবার করে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলে পুষ্টি পায়। এতে চুল মজবুত হয় এবং ডগা ফাটার সমস্যাও কমে যায়। চার টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে চার চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এতে এক চামচ নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেখে নিন। এটি স্ক্যাল্পে লাগাতেও পারেন, আবার শুধু চুলেও লাগাতে পারেন। হেয়ার মাস্ক মাখার পর চুলে শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে রাখুন। ঘণ্টা দেড়েক রাখার পর শ্যাম্পু করে নেবেন। এই হেয়ার মাস্ক চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে আপনাকে স্প্লিটএন্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
মেথির সঙ্গে বন্ধু পাতান
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় মেথির ভূমিকা কমবেশি সকলেরই জানা। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করার ক্ষেত্রেও মেথি দারুণ কার্যকর। ঝলমলে চুল পেতে সঠিক উপায়ে মেথি ব্যবহার করা জরুরি। প্রতিদিনের জন্য মেথির তেল ব্যবহার করুন। মেথি ভিজিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিন। মেথির পেস্টের সঙ্গে টক দই মিশিয়েও চুলে মাখতে পারেন। কিন্তু মেথিকে গুঁড়ো করে নিয়েও টক দই মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন। আপনি যে উপায়েই মেথি ব্যবহার করবেন, এটি আপনার ডগা ফাটার সমস্যা দূর করবে।