Kardashian Butt: মহিলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে চাইছেন অনেকে, কারণ কি তাঁর নিতম্ব?
Kardashian Butt: সংবাদের কেন্দ্রে ছিলেন প্রতারক লিওনেল গেজ! অথচ দৃশ্যে ওই মহিলা পুলিশ অফিসার উপস্থিত হতেই দন্ত চিকিৎসকের উপর থেকে আকর্ষণের সব আলো চেঁছে নেয় ওই মহিলার কাঁক!
ফরাসি মহিলা পুলিশ অফিসার গ্রেপ্তার করছেন এক কুখ্যাত দন্ত চিকিৎসককে। ট্যুইটারে এই ভিডিও পোস্ট হতেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে তা। পুলিশের ‘ব্যাকআপ’ দেখে সকলেই তাঁর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আর্জি জানতে থাকেন! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্যুইটারে শুরু হয় ভাইরাল ঝড়! প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে ওই ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন এবং কমেন্ট বক্সে লেখা হয়েছে একের পর এক গ্রেপ্তারের আকুল আবেদন। প্রশ্ন হল কেন এমন ব্যাকুল আর্জি মানব সমাজের? আসলে সমস্ত উত্তর পেতে হলে একটু পিছনের দিকে দৃষ্টিপাত বাঞ্ছনীয়। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এক দন্ত চিকিৎসককে আটক করছে পুলিশ। দন্ত চিকিৎসকের নাম লিওনেল গেজ। বয়স ৪২। সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি। এহেন দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ‘তারকাদের মতো হাসি’ পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসংখ্য লোকের মুখমণ্ডলের ক্ষতি করেছেন! এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবে, কেন সবাই ওই দন্ত চিকিৎসককে ছেড়ে মহিলা পুলিশের কাছে হাতকড়া পরতে চাইছে?
একাধিক পুলিশকর্মীর সঙ্গে মিলিতভাবে পাহারা দিয়ে ফ্রান্সের মার্সেই আদালতে ৪২ বছর বয়সি কুখ্যাত দন্ত চিকিৎসক ও তার বাবা গার্নোটকে হাজির করাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা পুলিশ। অতএব সমগ্র সংবাদের কেন্দ্রে ছিলেন প্রতারক লিওনেল গেজ! অথচ দৃশ্যে ওই মহিলা পুলিশ অফিসার উপস্থিত হতেই দন্ত চিকিৎসকের উপর থেকে আকর্ষণের সব আলো নিয়ে নেয় ওই মহিলার নিতম্ব!
‘অনুগ্রহ করে কেউ আমাকে ওই জেলার নামটি বলো, আমার গ্রেপ্তার হওয়ার প্রয়োজন আছে’— এই ধরনের স্থূল রসিকতায় ছেয়ে যায় ট্যুইটার।
‘দিজ ইজ পুলিশ ‘‘বুটালিটি’’…আমাদের এর তল পর্যন্ত যেতে হবে’— রসিকতা করে লেখেন আর একজন।
ট্যুইটার ছাড়াও রেডিট-এও ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও। পশ্চাৎ অবলোকনকারী এক ব্যক্তি লেখেন ‘ব্যাকআপ ফর ডেজ।’
‘আমার মনে হয়েছিল পুরো ছবিটাই ফটোশপে বানানো। তবে না, ঘটনাটি সত্যি।’— লিখেছেন আর এক ব্যক্তি।
নেট ব্যবহারকারীরা ইতিমধ্যেই ওই মহিলার পরিচয় জানার যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন। তবে সদর্থক উত্তর পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, রোগীদের প্রতারণা করার অভিযোগে লিওনেল গেজের ৮ বছরের কারাবাসের সাজা হয়েছে।
জানা গিয়েছে লাভের মাত্রা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ওই দন্ত চিকিৎসক জোর করে অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বাধ্য করতেন রোগীকে যা কিছু ক্ষেত্রে রোগীর ক্ষতির কারণ হতো।
২০০৬ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই দন্ত চিকিৎসক প্রায় ৩২৭ জন রোগীর ৩৯০০ টি রুট ক্যানাল করেছিলেন যার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। কয়েকজনের মুখে সেই কারণে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়। রোগীর কাছ থেকে প্রচুর অর্থ আদায় করতে পিছপা হতেন না ওই চিকিৎসক। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা নজরে আসে তদন্তকারীদের। এরপরেই ওই দন্ত চিকিৎসককে আটক করা হয়।