Glycolic acid for hyperpigmentation: বগল ও কনুইয়ের কালো ছোপ দূর করার উপায় লুকিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার রিলসে
Dark Underarms and Elbow: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার পণ্য এবং ঘরোয়া প্রতিকার শেয়ার হয়, যা হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে। এগুলো কতটা কার্যকর সে নিয়ে যদিও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

বগলের কালো ছোপ আপনার স্টাইলিংয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে আপনি হাতকাটা পোশাকও পরতে পারেন না। তার সঙ্গে বেড়ে চলে অস্বস্তি। একইভাবে, সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কনুইয়ের কালো ছোপ। ত্বকের যে অংশে মেলোনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, সেখানেই এই ধরনের কালো ছোপ তৈরি হয়। একে হাইপারপিগমেন্টেশন বলে। হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সহজ কাজ নয়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার পণ্য এবং ঘরোয়া প্রতিকার শেয়ার হয়, যা হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে। এগুলো কতটা কার্যকর সে নিয়ে যদিও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। তবে, meএই হাইড্রক্সি অ্যাসিড বগল ও কনুইয়ের কালো ছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
বগল ও কনুইয়ের কালো ছোপ দূর করার ক্ষেত্রে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড দারুণ উপকারী। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড হল এক ধরনের আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা আখের রস থেকে পাওয়া যায়। এই গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের সুবিধা হয়, এটা খুবই হালকা প্রকৃতির হয়। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের মৃত কোষগুলো সহজেই দূর করে দেয়। পাশাপাশি নতুন কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা শুরু করলে আপনি সাত দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবেন।
এবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, কীভাবে এই গ্লাইকোলিক অ্যাসিড পাবেন কিংবা কীভাবে এই পণ্যকে ব্যবহার করবেন। এমন স্কিন কেয়ার পণ্য বেছে নিন যার মধ্যে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড রয়েছে। সেটা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ টোনার, ময়েশ্চারাইজার যা কিছু হতে পারে। যখনই আপনি গ্লাইকোলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ পণ্য বগলে এবং কনুইয়ের উপর প্রয়োগ করছেন, এটি কোষের সংযোগগুলোকে দ্রবীভূত করে ত্বকের উপরের স্তরকে ভেঙে দেয়। এতে ওই স্তর ঝরে পড়ে যায়। এর জায়গায় যে নতুন স্তরটি আসে তা নরম, কোমল হয় এবং তাতে হাইপারপিগমেন্টেশনের প্রভাব থাকে না। আন্ডারআর্মসে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ডিওডোরেন্ট হিসেবেও কাজ করে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ঘামের ব্যাকটেরিয়াকে ভেঙে দেয়। যার জেরে ঘামের কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হয় না।
কিন্তু অল্প পরিমাণে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা উচিত। অত্যধিক মাত্রায় গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আবার যাঁদের সেনসিটিভ স্কিন কিংবা অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক তাঁরা এই গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ সংবেদনশীল ত্বকে এই গ্লাইকোলিক অ্যাসিড জ্বালাভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ত্বকের উপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত তৈরি করতে পারে। তবে, রিল বা ভিডিয়োতে যেমন দেখায় যে, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহারের ফলে রাতারাতি আপনার ত্বক বদলে গিয়েছে, এমনটা হবে না। কিন্তু অবশ্যই সাত দিনের মধ্যে দেখবেন ধীরে ধীরে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা কমে গিয়েছে।
