শক্তির দারুণ উৎস হল পাকা কলা। পাকা কলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন। রোজ জলখাবারে একটা করে কলা খেলে অনেক রকম উপকার পাবেন। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে কলার মত ফল আর নেই। সারা বছর আমাদের দেশে সুলভে পাওয়া যায় কলা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে। আর তাই ছোট থেকে বড় সকলকেই খাওয়ানো যায় কলা। কলা খুব সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। কলা বেশি পেকে গেলে সেই কলা দিয়ে মালপোয়া, বড়া বা প্যানকেক বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও পাকা কলা ব্যবহার করে বানিয়ে নিতে পারেন এই সমস্ত ফেসপ্যাক।
চুল আর মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলার জুড়ি মেলা ভার। আর তাই কলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই সব ফেসপ্যাক। কলা চটকে নিন। এবার ওর মধ্যে কমলালেবুর রস ১ চামচ, ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন ভাল করে। এবার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। এরপর তা ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেললেই হবে। রোজ ব্যবহার করলে বাড়বে মুখের উজ্জ্বলতা।
মুখে হঠাখ করেই কালো ছোপ পড়েছে? তিন্তা নেই, বানিয়ে ফেলতে পারেন এই ফেসপ্যাক। পাকা কলা, মধু আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকনো হলে ইষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে আর ত্বকও থাকবে মসৃণ। কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
বলিরেখার সমস্যা একটা বয়সের পর আসবেই। কলা, টকদই আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। মুখ ভাল করে ধুয়ে নিয়ে এই প্যাক সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
ব্রণর সমস্যা দূর করতেও খুব ভাল কাজ করে এই পাকা কলা। পাকা কলা, হাফ চামচ বেকিং সোডা, হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ইষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এি প্যাক ব্রণর প্রবণতা অনেক কমিয়ে দেয়।
কলার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি ও। এই কলার সঙ্গে চন্জনবাটা আর লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। নিয়মিত েই প্যাক ব্যবহার করলে কমবে অয়েল সিক্রেশনও।