প্রখর দিবস! দীর্ঘ দগ্ধ দিন (Heat Waves)। তাপপ্রবাহের জ্বালাভাব টের পেতে শুরু করেছে ত্বক। এইভাবে সূর্যের দহন, প্যাচপেচে ঘাম, দূষণের প্রভাবে ক্রমশ নিষ্প্রাণ হয়ে উঠছে তুলছে ত্বক!
বাতাসে জলীয়বাষ্পের বাড়াবাড়ি উপস্থিতি, ঊর্ধ্বগামী উষ্ণতা বাড়িয়ে তুলছে অস্বস্তি। ত্বকের (Skin Care) প্রাকৃতিক লাবণ্য অসহায়ভাবে নষ্ট হচ্ছে! ত্বক হয়ে পড়ছে শুকনো (Dry Skin)! এমনকী রোদে বেশিক্ষণ না কাটালেও বর্ধিত তাপের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্কিনে। তাই ত্বক রক্ষা করতে হলে, এখন থেকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার—
• মুখ ধোয়া: গ্রীষ্মের সময় ঘাম ও দূষণের কারণে ত্বকে ধুলিকণা গেড়ে বসে যায়। খালি চোখে এই ধরনের ধূলিকণা চোখে পড়ে না। তাই বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর একটু নরম ধরনের ফেসওয়াশ নিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা দরকার। এমন অভ্যেসে মুখের ওপর জমে থাকা ধূলিকণা দূর হবে। ত্বক হয়ে উঠবে জীবনীশক্তিতে ভরপুর।
• রিফ্রেশিং টোনার: ভেষজ টোনারের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য অটুট রাখে। সাধারণভারে টোনার মুখমণ্ডলে তরতাজা ভাব ধরে রাখে। গ্রীষ্মকালে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। এমন ক্ষেত্রে টোনারের ব্যবহার মুখমণ্ডলে তেল জমা প্রতিরোধ করতে পারে। সবচাইতে ভালো হয় জাফরান ও গোলাপের নির্যাস মিশ্রিত টোনার ব্যবহার করতে পারলে। এই ধরনের টোনার একটু হালকা হয়। ফলে সহজেই মুখ থেকে ক্লান্তিভাবে দূর করে।
• ত্বকের উপর মৃত কোষ: এক্সফোলিয়েট না করলে যতই লোশন ব্যবহার করুন না কেন দীপ্তিময় ত্বক অধরাই থেকে যাবে। অতএব আজ থেকেই বডি স্ক্র্যাব ব্যবহার শুরু করুন ও স্নান করুন। এভাবে ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা মৃত কোষগুলি সরে যাবে। মনে রাখবেন গোল গোল করে সারা শরীরের এক্সফোলিয়েটর ঘোরাতে হবে। সারাবছর উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে সপ্তাহে দু’দিন এক্সফোলিয়েট জরুরি।
• ত্বকের আর্দ্রভাব: গ্রীষ্ম হল এমন একটি সময় যখন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই সপ্তাহে একাধিকবার হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করুন। তবে মাস্ক ব্যবহার করার আগে মুখ অবশ্যই ধুয়ে নেবেন। এই মাস্ক ত্বকের পরিচর্যায়, জল ধরে রাখতে, এবং কোমলভাব পাকড়ে রাখতে সাহায্য করে। এমনকী ব্রণ হটাতে, শুকনোভাব দূর করতে, তৈলাক্তভাব সরিয়ে রাখতেও হাইড্রেটিং মাস্ক বিশেষ ফলদায়ী।
• সানস্ক্রিন: ঘরের বাইরে থাকুন কিংবা ভিতরে, সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এসপিএফ৩০ কিংবা এসপিএফ ৬০ যুক্ত সানস্ক্রিন সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে। ত্বকে ট্যান পড়া প্রতিরোধ করতে চাইলে গ্রীষ্মের সময় প্রতি ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অন্তর ত্বকে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করা উচিত।
• ডায়েট: গরমকালে প্রচুর জল পান করুন। এছাড়া পাতে রাখুন এমন খাদ্য যা পেট ভালো রাখে। শরীরে ঠান্ডাভাব বজায় রাখে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রতিদিন অবশ্যই ঘরে পাতা টক দই খান। খাওয়া যেতে পারে চালকুমড়ো, কুমড়োর, পেঁপের মতো খাদ্য। বেশি ভাজাভুজি এই সময় খাওয়া উচিত হবে না। বরং সহজপাচ্য খাদ্যগ্রহণই উচিত কাজ হবে।
আরও পড়ুন: Blackheads: নাকের উপর জেদি ব্ল্যাকহেডস! ঘরোয়া উপায়ে এর থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।