Bijaya Dashami: দশমীর বরণে ঐতিহ্যের শাড়ির সঙ্গে মিশল আধুনিকতাও, একঝলকে টলিপাড়ার বিজয়ার সাজ
Traditional Fashion: লাল বেনারসি, সোনার গয়না, সিঁদুর, টিপে রাঙা হয়ে মা-কে বরণ করেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। শুভশ্রীর পুরো সাজ জুড়ে বজায় খাঁটি সাবেকিয়ানা
দুর্গাপুজো ঠিক যেন মেয়ের বিয়ের মতো। আসছে আসছে , এই ভাল। পুজো শুরু হতে না হতেই ফুরিয়ে যায় নবমীর নিশি। অথচ এই পুজোকে ঘিরেই বছরভর কত তোড়জোড়। কত প্রস্তুতি। মিটিং, রাত জাগা, কেনাকাটা, ঝগড়া-তর্ক চলতেই থাকে। হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপে বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যানিং, একসঙ্গে আড্ডা, সিনেমা দেখতে যাওয়া, কোন দিন কী শাড়ি পরা হবে তাই নিয়ে তর্ক এসব চলতেই থাকে। আনন্দ, আড্ডা, রাত জেগে ঠাকুর দেখায় তিনটে দিন কেটে গেলেও দশমীর দিন একটু মন খারাপ হয় বই কী! এদিন আবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মা যাবেন কৈলাশে। তার আগে সিঁদুরে, আলতায় মেয়েকে সাজিয়ে দিতে হবে তো। লাল-পাড় সাদা শাড়িতে মাথায় ঘোমটা টেনে আঁচলে জবরদস্ত একটা পিন করে অধিকাংশ মহিলা যান ঠাকুর বরণ করতে।
বিজয়ার দিন এই লাল-পেড়ে সাদা শাড়ি কিংবা ঢাকাই শাড়ি হল বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য। বছরের পর বছর ফ্যাশানে যতই পরিবর্তন আসুক না কেন এই গরদের পাটভাঙা শাড়ি কিংবা লাল-সাদা শাড়িতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। হাতে শাঁখা-পলা, লাল টিপ, সিঁদুর আর ঘোমটায় সকলকেই খুব ভাল লাগে দেখতে। দশমীর দিন মেয়ে বাড়ি ফিরছে বলে মন তো খারাপ থাকেই আর তাই এদিন পোশাকেও কোথাও যেন থাকে বিষাদের সুর। আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের মিশেল হলেও খুব উচ্চগ্রামের সাজ-পোশাক হয়েছে সচরাচর এমনটা কিন্তু দেখা যায় না।
লাল বেনারসি, সোনার গয়না, সিঁদুর, টিপে রাঙা হয়ে মা-কে বরণ করেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। শুভশ্রীর পুরো সাজ জুড়ে বজায় খাঁটি সাবেকিয়ানা। খোঁপায় জুঁইয়ের মালা শুভশ্রীর সাজে যোগ করেছে অন্য মাত্রা। দশমীকে সাবেকি লাল -পাড় সাদা শাড়ি, সিঁদুরের টিপ খোঁপায় মালায় সেজেছেন সোহিনী সরকার। সুন্দর করে কাজল দিয়ে চোখ এংকেছেন। মেকআপের অতিরিক্ত ঘনঘটা নেই। সোহিনী যেন ঠিক মায়েরই এক প্রতিরূপ। বড়ই মায়াবী লাগছে তাঁকে দশমীর এই সাজে। সাবেকি আর আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে নুসরত জাহানের সাজে। বেনারসির কাজের ফুলস্লিভ লাল ব্লাউজের সঙ্গে লাল পাড় আর সাদা ঢাকাইয়ের কম্বিনেশনের একটি লেহঙ্গা চোলি পরেছেন নুসরত। কপালে সিঁদুরের টিপ, গলায় চোকার, হাতে শাঁখা-পলা, বালা সবই রয়েছে। সাবেকি প্রথম মেনে হাতে আলতাও পরেছেন নুসরত। খোলা চুলে ব্যাক ব্রাশ করে ব্লো ডাই করেছেন।
খুশির ছোঁয়া লেগেছে তার মনে-প্রাণে। ছবিতেই স্পষ্ট সেই সুর। অন্যদিকে নতুন বউমা তৃণা সাহাও দশমীতে নিজেকে মুড়েছেন লাল রঙেই। তবে তৃণার সাজ এঁদের সবার থেকে একটু আলাদা। দশমীর আড্ডা আর পার্টির মেজাজ ধরা রয়েছে তাঁর এই লুকে। সিক্যুইনের কাজ করা লাল স্লিভলেস ব্লাউজ, লাল নেটের শাড়ি আর কানের টপে অপরূপ লাগছে তাঁকে। আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্য বোধহয় অভাবেই মিশে যায়। থেকে যায় বিজয়ার চিরন্তন লাল রং।