Nose Pin: নথ, নাকছাবি বা নোজ়পিন গয়নার বাক্সে যা-ই থাক না কেন, কীভাবে ফ্যাশান স্টেটমেন্ট তৈরি করবেন
Nose Pins Designs: নথের প্রথম প্রচলও শুরু হয় দক্ষিণ ভারতে। ক্রমে তা দেশজুড়েই ছড়িয়ে পড়ে। আর এখন নথই ফ্যাশান। তার জন্য নাক ফুটো করার প্রয়োজন পড়ে না
ফ্যাশানে এখন নথ ভীষণ ভাবে ইন। জিন্স হোক বা সালেয়ার-অ্যাকসেসারিজে একটা নথ হলেই কাফি। ভারতীয় সংস্কৃতিতেও কিন্তু গুরুত্ব রয়েছে এই নথের। হিন্দু বিবাহিত মহিলা মানেই তাঁকে সিঁদুর পরতে হবে- এমন নিদান দেওয়া রয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে। আর তা বছরের পর বছর ধরে বহন করে আসছে ভারতীয় সমাজ। এ ছাড়াও হিন্দু ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী এক জন বিবাহিত মহিলাকে সব মিলিয়ে পাঁচটি সৌভাগ্য চিহ্ন দেহে বহন করতে হয়— কুমকুম, চুড়ি, নাকছাবি, পায়ের আংটি এবং মঙ্গলসূত্র। নাকছাবির উৎপত্তি দক্ষিণ ভারত থেকে। তবে প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় মহিলাদের নাকছাবি পরতে দেখা যায়। ভারতীয় পুরাণেও যে সব মহিলা চরিত্রদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয় তাঁদের নাকেও দেখা গিয়েছে নথ। নথের প্রথম প্রচলও শুরু হয় দক্ষিণ ভারতে। ক্রমে তা দেশজুড়েই ছড়িয়ে পড়ে। এখনও আমাদের দেশে একেবারে ছোট বয়সেই মেয়েদের জোর করে কান আর নাক ফুটিয়ে (Piercing) দেওয়া হয়।
যদিও এখ ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে উভয়ই Piercing করান। পছন্দের নথ কিংবা নাকছাবি পরতে এখন আর কষ্ট করে তা ফোটাতে হয় না। নথ এর চাহিদা তুঙ্গে ওঠার পর সবার কথা ভেবেই এখন এখন ফলস নথ পাওয়া যাচ্ছে। নথ বা নাকছাবি থাকলে খুব সহজেই লুক পরিবর্তন করা যায়। আদতে ভারতীয় হলেও যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই কিন্তু নথ মানিয়ে যায়। ট্য়াংক টপ আর জিন্সের সঙ্গে নথ আর চোখে একটা কালো ওভার সাইজড চশমা হলেই দিব্যি চলে যায়। শাড়ির সঙ্গে ভাল লাগে নথ, সালোয়ারের সঙ্গেও কিন্তু তা মানিয়ে যায়। বিয়ের দিন যে কোনও মেয়ের সাজ সম্পূর্ণই হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত বড় নথ পরছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নানা ধরনের, নানা ডিজাইনের নথের ব্যবহার আছে। কখনও তা বড়, কখনও ছোট, কখনও সনাতনী, কখনও আধুনিক…আর এই নথের প্রেমে মজেছে বলিউড থেকে টলিউড। বলি তারকারা ফ্যশান স্টেটমেন্টে অনেক দিন আগেই জুড়ে নিয়েছেন নথ। বর্তমানে টলিউডের তারকাদেরও মন কাড়ছে এই নথ। শাড়ি, জিন্স কিংবা যে কোনও ড্রেসের সঙ্গে তারকারাও দিব্যি মানিয়ে গিয়েছেন নথে। কেউ পরছেন নোজ পিন, কেউ নাকছাবি কেউ মারাঠি নথ… আর বড় নোলক তো আছেই।
সনাতনী নাকছাবিতে ওয়েস্টার্ন পোশাকেও দিব্যি মানিয়ে যায়। বিশেষত টিশার্টের সঙ্গে দেখতে বেশ লাগে। এই জেনারেশনের বেশিরভাগ মেয়েরই পছন্দ মারাঠা নথ। ট্র্যাডিশন্যাল মারাঠা নথ সব সময় সোনালি রঙের হয়। শাড়ির সঙ্গে এই নথ দেখতেই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। এছাড়াও সালোয়ার কিংবা কুর্তির সঙ্গেও পরতে পারেন স্টাইল করে। যেমনটা পরেছেন রুকমা। সনাতনী টানা নথ সব সময় ভাল লাগে শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে। তবে লেহেঙ্গার জমকালো সাজের সঙ্গে স্টোনের কাজই বেশি চোখ টানে। যেমনটা পরেছেন স্বস্তিকা দত্ত।
নথ নিয়ে সবচেয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্ট করেন অবিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অক্সিডাইজ নয়, বোতাম নথ সবই রয়েছে তাঁর কালেকশনে। স্বস্তিকার এই নথ ফ্যাশান কিন্তু বেশ নজরকাড়া। অনুপ্রাণিত হতে পারেন আপনিও। একটা নথই ঢেকে দেয় মেকআপের অন্য খুঁতকে।