শীতকালে শাড়ি পরা একটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। অনেকে আবার এই ঋতুর জন্যই শাড়ি পরতে চান না। কারণ কিছুই না, আসলে শাড়ির জৌলুস শাড়ির স্বাধীনতার মধ্যেই থাকে। আর শীতকালে আপনাকে শাড়ির সঙ্গে শাল বা জ্যাকেট কিছু তো পরতেই হয়। তখনই আপনার মনে হয় যে শাড়ি পরাটাই বেকার হয়ে গেল। কিন্তু আসলে তা নয়। শীত পোশাকের সঙ্গে শাড়ি পরুন, তবে একটু কায়দা করে পরলেই হবে। জেনে নিন কীভাবে পরবেন…
ব্লাউজের বদলে নিটেড টপ:
শাড়ি পরুন নিটেড টপ দিয়ে। হাই নেক, ফুল স্লিভ এই ধরনের টপ হালকা গরম জোগাবে আর ফ্যাশনিস্তা হতে ভরপুর সাহায্য করবে। ম্যাচিং টপ পরতে হবে, তার কোনও মানে নেই। পরতে পারেন কনট্রাস্ট কিংবা একেবারে অন্য ধরনের রংয়েরও। আবার ঠান্ডা যখন বেশ জাঁকিয়ে পড়বে, তখন পরে ফেলুন পুলওভার। তবে তা যেন ঢিলেঢালা না হয়। এ ছাড়াও পরতে পারেন ক্রপড সোয়েটারও।
এথনিক কোটের সঙ্গে পরুন শাড়ি:
শীতে এথনিক অন এথনিক ট্রাই করে দেখবেন নাকি? তা হলে শাড়ি পরুন একটু লম্বা ঝুলের এথনিক কোট দিয়ে। এই ধরনের শ্রাগও পরতে পারেন শাড়ির সঙ্গে, হালকা শীতে। এই ধরনের শালের কাপড়ের তৈরি কোট পরুন বেশি শীতে। কাশ্মীরি শালওয়ালাদের কাছে এই ধরনের কোট পেয়ে যাবেন। নইলে অনলাইন ভরসা। কাশ্মীরি পিরানও ট্রাই করতে পারেন শাড়ির সঙ্গে। ছোট ঝুলের, দিব্যি লাগবে। আঁচলটা বাইরে বের করে গলা দিয়ে পেঁচিয়ে নেবেন। ওটাই দোপাট্টার মতো কাজ করবে।
ডেনিম জ্যাকেটের সঙ্গে শাড়ি:
এই ধরনের জ্যাকেট যখন শাড়ির সঙ্গে পরবেন, তখন যেন তার ঝুল একটু ছোট হয়, তা হলে জমবে ভাল। বেশি শীতের জন্য একটু মোটা জ্যাকেট বেছে নিন। তবে উপরে জ্যাকেট পরলেও তলায় কিন্তু ব্লাউজ পরে নেবেন। নইলে গরম লাগলেও জ্যাকেট খুলতে পারবেন না। ডেনিম কিংবা লেদার জ্যাকেটের সঙ্গে শাড়ি পরুন একটু উঁচু করে। সঙ্গে পরুন বুটস বা স্নিকার্স ট্রাই করতে পারেন।
পঞ্চোর সঙ্গে শাড়ি পরুন:
বাতিল করে দেওয়া এই শীতপোশাকটি এবার ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে শাড়ির সঙ্গে পরে সকলের তাক লাগিয়ে দিন। শীত তো মানাবেই, ফ্যাশনও হবে ভরপুর। যাঁরা সোয়েটার বোনেন, তাঁরা অনায়াসে বুনে ফেলতে পারেন নানা ধরনের পঞ্চো। শালের কাপড় দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পারেন এই ধরনের পোশাক। তার উপর পছন্দসই এমব্রয়ডারি করুন। তৈরি আপনার কাস্টমাইজড পঞ্চো।