Miss World 2021: মিস ওয়ার্ল্ডের সেরার মুকুট জিতলেন পোল্যান্ডের ক্যারোলিনা! দ্বিতীয় স্থানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সুন্দরীও
Karolina Bielawska: বর্তমানে ক্যারোলিনা ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ভবিষ্যতে তিনি পিএইচডি করতে চান। পড়াশোনার পাশাপাশি মডেল হিসেবে তিনি নিজের কাজ চালিয়ে যেতে চান।
করোনার জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি, ১৬ মার্চ ঘোষণা করা হল আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ওয়ার্ল্ড ২০২১ -এর বিজয়ীর নাম। চলতি বছরে পুয়ের্তো রিকোতে আয়োজিত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সেরার মুকুটে কে পেলেন?
৭০তম মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতে নিলেন পোল্যান্ডের ক্যালোলিনা বিলাস্কা। করোনার জন্য পিছিয়ে গেলেও মিস ওয়ার্ল্ড ২০২১ এর সেরার মুকুট জিতে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতলেন পোল্যান্ডের এই সুন্দরী। প্রথম স্থানে পোল্যান্ডের সুন্দরী থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার বাসিন্দা শ্রী সাইনি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের অলিভিয়া ইয়াস। তবে এই আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় টপ ৬-এ অল্পের জন্য পৌঁছতে পারেননি ভারতের মানসা বারাণসী। তবে তিনি টপ ১৬-এ নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
View this post on Instagram
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, উত্তর আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সৌন্দর্য ও প্রতিভার জেরে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছেন ক্যারোলিনা। অনুষ্ঠানের শেষে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন ২০১৯ সালের মিস ওয়ার্ল্ড জ্যামাইকার টনি অ্যান সিং।
Missworld.com এর মতে,বর্তমানে ক্যারোলিনা ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ভবিষ্যতে তিনি পিএইচডি করতে চান। পড়াশোনার পাশাপাশি মডেল হিসেবে তিনি নিজের কাজ চালিয়ে যেতে চান। ভবিষ্যতে টিভি সঞ্চালিকা ও মোটিভেশনাল স্পিকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। বেড়াতে, সাঁতার কাটতে ও সমুদ্রের তলায় স্কুবা ডাইভিং ভালোবাসেন তিনি। ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের বিশ্বসুন্দরীর বিষয়ে জানিয়েছে, ক্যারোলিনা বহু বছর ধরেই একটি স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গে যুক্ত। সংকটে থাকা গৃহহীন মানুষদের সাহায্যের পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সামাজিক বর্জনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলে তাঁর বিউটি উইথ এ পারপাস প্রোজেক্ট ‘জুপা না পিট্রিনি’। প্রতি রবিবার, ক্যারোলিনা গরম খাবার, স্যান্ডউইচ, খাবারের প্যাকেজ, গরম পানীয় নিয়ে প্রায় ৩০০ জন গৃহহীনের পাশে দাঁড়ান। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে তাঁদের জন্য চিকিত্সার ব্যবস্থা করেন।
করোনাকালেও তাঁর মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া বন্ধ হয়নি। গৃহহীনদের জন্য কোভিড-টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। আইডি কার্ড না থাকায় অনেকেরই ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের জন্য তিনি অপ্রতিরোধ্য কাজ করে গিয়েছেন। মানুষকে নিরাপদ বোধ করাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ভ্যাকসিন যে সকলের সমান অধিকার, সেটাও সমাজের কাছে অত্যন্ত জরুরি।